বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই সায়ন দাস নামে এক ব্যক্তি বাইক কিনতে চেয়ে ফোনে সাগরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় ওই ব্যক্তি এসে সাগরের ভাইয়ের সঙ্গে সাগরের ভাইয়ের সঙ্গে বাইক কেনার বিষয়ে কথা বলতে চান। আর পাঁচ জন ক্রেতার মতো সে বাইকের কোনও তথ্য না জেনেই চুয়ান্ন হাজার টাকা টাকা দাম দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন: SSC শিক্ষক নিয়োগ তদন্তে চাঞ্চল্যকর মোড়, ডাক পড়ল অনিন্দিতা বেরা'র! কে তিনি?
সাগর রাজি হবার সঙ্গে সঙ্গে বাইকের বৈধ কাগজপত্র না দেখেই ব্যাগে ভরে নেন ওই যুবত। বাইকের দাম ঠিক হবার পরে গাড়ি চালু করতেই তার কাছ থেকে চাওয়া হয় টাকা। কার্যত বাইক নিয়ে চম্পট দেবার সময় তাকে সবাই মিলে টাকা দিতে বাধ্য করেন। অভিযুক্ত ঐ ব্যাক্তি বাইকে বসে একটি সাদা বন্ধ খাম দিয়ে চলে যাবার চেষ্টা করলেও বাধা পায় সাগরের বন্ধুদের থেকে।
আরও পড়ুন: এসএসসি দুর্নীতিতে বড় খবর! এবার আসরে ইডি, লেনদেনের হদিশ খুঁজতেই নতুন তদন্ত
মুখবন্ধ খাম খুলে দেখা যায় তার মধ্যে ২৭ টি ২০০০ টাকার নোট রয়েছে। তবে নোটগুলি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই সাগর এবং তাঁর বন্ধুদের সন্দেহ হয়। নোটগুলির কাগজ অন্য নোটের মওত নয় এবং প্রতিটি নোটের রংও অন্য রকম। নোটগুলি ভালো করে দেখতেই দেখা যায় ২৭টি নোটের নম্বরও এক৷ সন্দেহ আরও গভীরে হতেই ফোন যায় পাটুলি থানায়। থানার তদন্তকারী অফিসার ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত সায়ন দাসকে আটক করে ও টাকাগুলি বাজেয়াপ্ত করে।
অভিযুক্ত যুবক পুলিশের জেরায় নিজের বাড়ির ঠিকানা বা জাল নোটের উৎসের সন্ধান না দিতে চাইলেও পুলিশের জেরায় সে একটি দোকানের সন্ধান দেয়, সেখানে গিয়ে আরও দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয় ও উদ্ধার হয় একটি ল্যাপটপ এবং কালার প্রিন্টার সহ একাধিক বৈদ্যুতিন সামগ্রী। অভিযুক্ত সায়ন দাসকে গ্রেফতার করা হয় ও আটক করা হয় বাকি দু' জনকে।