তিনি বলেন, "আমার ভাল লাগছে সব জেলা, কালিম্পং থেকে ঝাড়গ্রাম এক হয়ে গিয়ে বাংলা মাকে নিয়ে এসেছন। আমি গ্রাম বাংলাকে দেখতে পাচ্ছিলাম। এত সুন্দর আয়োজন করেছে জেলাগুলো। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করে ভাল লাগল। এর আগে কোভিডের সময় অনেক পুজো উদ্বোধন করেছিলাম এই ভাবে নবান্ন থেকে। সবাই মিলিত হয়েছেন। সবাইকে দেখতে ভাল লাগছে। আমরা সবাইকে অভিনন্দন জানাই।"
advertisement
জেলাগুলিকে শুক্রবারের মধ্যেই তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। জেলার আধিকারিকেরা সেই তালিকা নবান্নে জমা দিয়েছিলেন। তবে রবিবার প্রথম নয়৷ বৃহস্পতিবার কলকাতায় তিনটি পুজো মন্ডপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: গঙ্গা দূষণ ঠেকাতে দুর্গাপুজোয় কলকাতার এক বনেদি বাড়ির ব্যতিক্রমী উদ্যোগ
এদিন মমতা পুলিশের ভূমিকার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, "পুলিশের এই কদিন অনেক কাজ আছে। ক্লাবের ছেলেরাও কাজ করে৷ তোমাদের দায়িত্ব রাস্তা যেন সচল থাকে। অনেক লোক এখানে দেখতে আসেন। পাশেই আবার সুরুচি।"
আরও পড়ুন: পেট্রোল পাম্পে আসা মানুষদের উপদেশ, মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদে তৃণমূল
চেতলার প্রতিমার প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিশেষ করে শিল্পী সুব্রতকে অভিনন্দন জানান৷ মেয়রের পুজোর থিম এবার ১৬ কলা পূর্ণ। কারণ কলাগাছ দিয়েই তৈরি করা হয়েছে একটা গোটা মণ্ডপ। বাংলার বারোমাসে তেরো পার্বণে কলাগাছ না থাকলেই নয়। এবার সেই কলাগাছের বাকল থেকে তন্তু বার করে তরল প্যারাফিনে চুবিয়ে রেখে বানানো হয়েছে গোটা মণ্ডপ। গত তিন বছর ধরে নিজের স্টুডিওতে এই মণ্ডপের সামগ্রী তৈরি করেছেন শিল্পী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁরই থিম এবার চেতলা অগ্রণীতে '১৬ কলা পূর্ণ'। সেই দেড় লক্ষ কলাগাছের বাকল থেকেই গোটা মণ্ডপ তৈরি করে ফেলেছে ফিরহাদ হাকিমের চেতলা অগ্রণী। তবে কিছুটা মনভারও ছিল মুখ্যমন্ত্রীর৷ মনে পড়ছিল, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, নির্মলা মিশ্রের কথা৷