এদিন দুপুর ২টো বেজে ৯ মিনিটে শিলং বিমানবন্দরে অবতরণ করে তৃণমূলনেত্রীর বিমান। মমতার সফর ঘিরে এই পাহাড়ি রাজ্যের সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। নেত্রীকে দেখতে বিমানবন্দরের সামনেই ভিড় জমান অনেকে। তারপরে, বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে শিলং আসার সময় তৃণমূলনেত্রীকে দেখে 'লং লিভ টিএমসি' স্লোগান তুলে তাঁকে স্বাগত জানান মেঘালয়ের তৃণমূল সমথর্কেরা। সূত্রের খবর, মেঘালয়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে মহিলাদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতিতে খুশি হয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
তৃণমূল সূত্রের খবর, মেঘালয়ে পৌঁছনোর পরে সোমবার দলীয় বিধায়ক, তথা নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঘরোয়া আলোচনা সেরেছেন মমতা। আগামিকাল, মঙ্গলবার মূল কর্মসূচি। এদিন দুপুর ১২টায় দলীয় কর্মিসভায় যোগ দেবেন তৃণমূলনেত্রী। বিকেল ৪টে নাগাদ যোগ দেবেন ক্রিসমাস উৎসবে।
আরও পড়ুন: আজ সেই ১২ ডিসেম্বর, মিলবে শুভেন্দুর ভবিষ্য়দ্বাণী? বঙ্গ রাজনীতিতে জল্পনা তুঙ্গে
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর থেকেই বঙ্গের বাইরে ভিনরাজ্যে তৃণমূলের সংগঠন মজবুত করার দিকে বিশেষ নজর দিকে দেখা গিয়েছে অভিষেক গঙ্গোপাধ্যায়কে। ত্রিপুরা, গোয়ার মতো উত্তরপূর্বের রাজ্য মেঘালয়েও সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। প্রসঙ্গত, কংগ্রেসের ১১ জন বিধায়ক হাত ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দেওয়ায় বর্তমানে মেঘালয়ের প্রধান বিরোধী দলই তৃণমূল।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মেঘালয়ের সমস্যাকে দিল্লির দরবার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ায় তৃণমূলে আস্থা রাখছেন মেঘালয়বাসীর একাংশ। রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যেও তার প্রভাব চোখে পড়ছে।
ইতিমধ্যেই দু'দফায় মেঘালয়ে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শিলং ও তুরায় দলীয় কার্যালয় চালু হয়েছে। অভিষেক জানিয়েছিলেন, “সবাইকে ধন্যবাদ এখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে শক্তিশালী করার জন্য৷ এখনও ভোটের ছয় মাস বাকি আছে। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলবে। ২০১৮ সালে মানুষের ভোটে যারা ক্ষমতায় এল তারা কাজ করছে না। এই সরকার বিজেপির হাতের পুতুল হয়ে আছে।”
আরও পড়ুন: তৃণমূল ঘনিষ্ঠদের বাড়ির কাছেই পরীক্ষাকেন্দ্র, টেট মিটতেই বিস্ফোরক অভিযোগ শুভেন্দুর
পাশাপাশি, সেই সময় অভিষেক দাবি করেছিলেন, বিধানসভা ভোটে তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সেখআনকার শাসক হবেন মেঘালরেই কোনও ভূমিপুত্র। সূত্রের খবর, অভিষেকের এই বার্তাও মনে ধরেছে মেঘালয়ের রাজনৈতিক নেতাদের।
ত্রিপুরা এবং মেঘালয়। আগামী বছর উত্তররপূর্বের এই দুই রাজ্যেই বিধানসভা নির্বাচন। এর আগে ত্রিপুরার পুর নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী দিলেও বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে নামেনি তৃণমূল। মেঘালয়েও এর আগে ভোটে প্রার্থী দেয়নি ঘাসফুল শিবির। কিন্তু, আগামী নির্বাচনে দুই রাজ্যেই নিজেদের জমি তৈরি করতে মরিয়া মমতার দল।