রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নয়৷ বিভিন্ন বার ট্যুইটে রাজ্য সরকারের কথার বিরোধিতা করেছেন ধনখড় (Jagdeep Dhankhar৷ তৃণমূলের দাবি, প্রতিবারই তিনি পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন, উত্তর দেননি সরকারের প্রশ্নের৷ সোমবার ট্যুইটারে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে ব্লক বা আনফলো করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee blocks Jagdeep Dhankhar on Twitter)৷ নবান্নে নিজেই এ কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ অভিযোগ, রাজ্যপাল যেভাবে প্রতিদিন ট্যুইট করে সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিচ্ছিলেন, তা মেনে নিতে না পেরেই রাজ্যপালকে (Governer) ট্যুইটারে ব্লক করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি৷
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী (CM) বলেন, 'প্রতিদিন ট্যুইটারে এমন অসাংবিধানিক, অনৈতিক কথা বলতেন মনে হত আমরা চাকর বাকর, বন্ডেড লেবার৷ পরামর্শ নয়, উনি যেন আমাদের নির্দেশ দিতেন৷ অথচ আমরা মানুষের দ্বারা নির্বাচিত সরকার৷ আরনি মনোনীত হয়েওসবার মাথার উপরে সুপার পাহারাদার হয়ে গেছেন৷'
আরও পড়ুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই রাজ্যপালকে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ব্লক করে দিলেন ডেরেক
এরপরেই নিজের পাঠানো হোয়াটস্অ্যাপ চ্যাট ট্যুইট করে বসেন রাজ্যপাল, যেখানে তিনি পারস্পরিক শ্রদ্ধা বিনিময়ের কথা বলেছেন৷ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি তাঁর আন্তরিক শ্রদ্ধা আছে (Dhankar Tweets His WhatsApp Texts to CM About Harmony)৷
এই সংঘাত বহুদিনই চলছে৷ কোবিন্দের কাছে রাজ্যপালের অপসারণ দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতিকে অভিযোগ জানানোর সময় পাশে ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অবশ্য এই বিষয়ে বলেছেন, "সংসদের সেন্ট্রাল হলে তৃণমূল সাংসদরা আজ যা করলেন তা ভারতের ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। সেন্ট্রাল হলে রাষ্ট্রপতির ভাষণ শেষ হওয়ার পরে শুভেচ্ছা বিনিময়ের রীতি রয়েছে। সেখানে নোংরা রাজনীতি টেনে এনে বাংলার সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।"
আরও পড়ুন: ট্যুইটারে রাজ্যপালকে ব্লক করলেন মুখ্যমন্ত্রী, কঠোর হয়ে ক্ষমাপ্রার্থী মমতা
সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দু শেখর রায় তার দলের নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি প্রস্তাব দেন। তৎক্ষণাৎ সেই প্রস্তাবে সম্মতি দেন দলনেত্রী। প্রস্তাবটি ছিল, রাজ্যসভায় বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনবেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তবে ধনখড়ের বিনম্র হোয়াটস্অ্যাপে বরফ গলে কিনা, সেটাই দেখার৷