সমশেরগঞ্জের গঙ্গা ভাঙনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা যে নেওয়া প্রয়োজন তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকেও চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধু তাই নয়, গত বছর নীতি আয়োগের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে দল পাঠিয়েছিলেন, তাদের নথির বিষয়বস্তুর মধ্যেও সমশেরগঞ্জের গঙ্গা ভাঙনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছিল বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
advertisement
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক বৈঠকেও গঙ্গা ভাঙন নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার মালদহ জেলায় মালদহ ও মুর্শিদাবাদ এই দুই জেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক বৈঠকের পরে বৃহস্পতিবার রাতেই ফরাক্কা রওনা দেওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
এদিন রাতে ফরাক্কায় থেকে আগামিকাল, শুক্রবার সড়কপথেই সমশেরগঞ্জ যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সমশেরগঞ্জে গঙ্গা ভাঙন কবলিত এলাকা তিনি নিজে পরিদর্শন করবেন। বিশেষত, মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জ এলাকায় একাধিক বাড়ি বিপজ্জনকভাবে ঝুলছে বলে জানা গিয়েছে।
ভাঙনের আতঙ্কে ঘর ছেড়েছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই, নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি বাড়ি। সামনেই বর্ষা আসছে। সেক্ষেত্রে, বাসিন্দাদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। বিশাল এলাকা জুড়েও শুরু হয়েছে ফাটল। নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে বিঘা বিঘা কৃষি জমি। যে কোনও মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে বাসুদেবপুর থেকে কাকুরিয়া হয়ে ধুলিয়ান যাওয়ার অন্যতম রাস্তা। এমনটাই আশঙ্কা করছে জেলা প্রশাসন।
গত বছরের শেষের দিকে সমশেরগঞ্জ এলাকায় বেশ অনেকটাই গঙ্গা ভাঙন হয়েছে বলে মত প্রশাসনের আধিকারিকদের। সে ক্ষেত্রে, এখনই কোনও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা না নেওয়া হলে এই ভাঙন আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিদর্শনে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু ঘোষণা করা হতে পারে বলেই মনে করছে জেলা প্রশাসন। যদিও গঙ্গা ভাঙন আটকাতে কয়েকশো কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ করেছে রাজ্য। কেন্দ্রে তরফ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য আসছে না বলেও ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরব হয়েছেন। তাই শুক্রবারের পরিদর্শনের পর মনে করা হচ্ছে গঙ্গা ভাঙন আটকাতে নতুন কিছু পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়
