উল্লেখ্য, এর আগেও ওড়িশা সফরে গেলে প্রতিবারই জগন্নাথ মন্দিরে পুজো দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওড়িশায় যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে গেলেও ঝটিকা সফরে পুরীর মন্দির দর্শনে যেতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। গত ২০২০ সালে ভুবনেশ্বরে আন্তঃরাজ্য পরিষদের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সময়েও পুরী ঘুরে গিয়েছিলেন মমতা। তার আগে ২০১৭ সালে মমতাকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল সেবায়েতদের একাংশের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে।
advertisement
তবে এবারের সফর অবশ্যই নতুন মাত্রা পেয়েছে ২টি কারণে। একটি, পুরীতে বঙ্গভবন তৈরির প্রস্তুতি পরিদর্শন এবং দ্বিতীয় নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে সাক্ষাৎ। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস তৈরির নকশাও তৈরি হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। জমি পছন্দ করার পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী সেই নকশা ও সার্বিক প্রস্তুতিও খতিয়ে দেখবেন পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কাছ থেকে।
প্রসঙ্গত, পুরীর সমুদ্রের কাছে এবং মন্দিরের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে একাধিক বেসরকারি গেস্ট হাউস রয়েছে। তবে বাংলার রাজ্য সরকারের গেস্ট হাউস এই প্রথম হতে চলেছে। ফলে বাঙালি পর্যটকদের জন্য নিঃসন্দেহে তা বাড়তি পাওনা বলেই মনে করা হচ্ছে।
পুরীর পাশাপাশি, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতেও রাজ্যের একটি গেস্ট হাউস গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোন এলাকায় এই গেস্ট হাউস হবে, তা ইতিমধ্যেই পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা ঠিক করে ফেলেছেন। গেস্ট হাউস তৈরির ব্যাপারে প্রস্তুতিও নেওয়া হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে পুরীতে বাঙালি পর্যটক থিকথিক করছে৷ তাঁরাও চাইছেন বঙ্গভবন গড়ে তোলা হোক পুরীতেও।