দিদির সুরক্ষা কবচ ১১ জানুয়ারি থেকে দক্ষিণ কলকাতার সাংগঠনিক জেলার ১০ বিধানসভা কেন্দ্রে পালিত হবে। কোন প্রকল্পে কে সুবিধা পেয়েছেন আর পাননি সেই ফিডব্যাক দলকে জানানো হবে। দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার অনুষ্ঠান দক্ষিণ দিনাজপুরের নেতা এসেও করতে পারেন। এই নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে কারও কোনও মৌরসীপাট্টা নেই, বা আর কী সমস্যা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করা হবে। এক জায়গার বিধায়ক, অন্য কেন্দ্রে গেলে মানুষ মন খুলে কথা বলতে পারবেন বলেই মনে করছে তৃণমূল।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দিদির ভূতেদের তাড়াও, দেবানন্দপুর বাঁচাও', 'ভূতের' খোঁজে তুমুল চাঞ্চল্য ব্যান্ডেলে
অন্যদিকে, বেহালা পশ্চিমের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে৷ সেই এলাকাতেও যাতে মানুষের কাছে শাসকদল পৌঁছতে পারে তার জন্য বিশেষ ভাবনা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। দলের বক্তব্য, এটা ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয়৷ ফলে নেতারা যাবেন। দল দায়িত্ব দেবে। এই প্রচার ৬০ দিন ধরে চলবে। যে জনপ্রতিনিধিরা যাবেন, তাঁরা সহানুভূতি নিয়ে কথা বলবেন। দলকে যথাযথ রিপোর্ট দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: শীতে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ে, পেট সাফা করতে গরম দুধে ঘি খান! দারুণ উপকার
বুধবার দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল দক্ষিণ কলকাতায়। দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। পঞ্চায়েত ভোটের আগে একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মাস্টারস্ট্রোক' বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অন্যদিকে, বেহালা পশ্চিমে দল বিশেষ দায়িত্ব দেয় কাকে সেদিকেও নজর রয়েছে সকলের। এক জায়গার বিধায়ক বা জনপ্রতিনিধি অন্য জায়গায় যাবেন। নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বোঝার জন্য এই সিদ্ধান্ত। আগামিকাল উত্তর কলকাতায় শুরু হবে এই জনসংযোগ কর্মসূচি। এদিন অবশ্য অনুপস্থিত ছিলেন ফিরহাদ হাকিম-অরুপ বিশ্বাস-আব্দুল খালেক মোল্লা।