আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে মুর্শিদাবাদ জেলায় আজ প্রশাসনিক সভা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে চলতি মাসেই লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি হিসাবে, দলীয় কর্মীদের সাথে বৈঠকে করেছিলেন তিনি। কালীঘাটে তাঁর বাড়িতেই হয়েছিল এই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
advertisement
এই বৈঠকে লোকসভা নির্বাচনে বাংলার জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কার্যত এই বৈঠক থেকেই মমতা বন্দোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কংগ্রেসের সাথে রাজ্যে কোনও জোট করবে না তৃণমূল। এমনকি, অধীর চৌধুরী যে কোনও ফ্যাক্টর নয়, তা-ও পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
গত দু’-তিন বছরে ফিরহাদ হাকিম, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরি মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক ও নির্বাচনী কাজের দায়িত্ব পালন করছেন। মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলের সাংগঠনিক নেতৃত্বে বদল হয়েছে কিছু মাস আগেই। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুর কংগ্রেস ধরে রাখতে পারলেও মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর আসনে জয়ী হয় তৃণমূল। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় শূন্য হয়ে যায় কংগ্রেস।
পরবর্তী সময়ে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস জয় পেলেও, পরে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস যোগ দেন তৃণমূলে। লোকসভায় বহরমপুর আসন কংগ্রেসকে ছাড়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল তৃণমূল। তবে জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়ায় সেই কথা এগোয়নি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বরাবর তুলে আসছে তৃণমূল। এমনকি বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসক দল।
আরও পড়ুন:মাধ্যমিক নিয়ে ফের ‘বড়’ আপডেট! এগিয়ে এল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রিপোর্টিং টাইম, জানুন নতুন সময়
অন্যদিকে, রাহুল গান্ধিকে নিয়ে ন্যায় যাত্রায় এই জেলায় একাধিক কর্মসূচি নিতে চলেছে কংগ্রেস। ফলে রাজনৈতিক ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের এই সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই জেলায় একাধিক সময় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খবর সামনে এসেছে। বিধায়কের সাথে জেলা নেতৃত্ব বা ব্লকের সমস্যা বারবার উঠে এসেছে সামনে। সেই কথা মাথায় রেখে সংগঠনে আমূল বদল আনার চেষ্টা করেছে তৃণমূল নেতৃত্বও। এখন লোকসভা নির্বাচনের আগে এই দ্বন্দ্ব মেটাতে ফের একবার কড়া অবস্থান জানাতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে গত বৈঠকে বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাবধান করার পরেও তিনি নির্দেশ উপেক্ষা করছেন এমন অভিযোগ উঠেছে৷