এরপরে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দেন মমতা। তিনি বলেন, “জগদ্ধাত্রী হলেন জগতের মা। মায়ের একাধিক রূপ। কালই ছট পুজো আছে। আমাদের এখানে ছট পুজোয় সরকার দু’দিন ছুটি দেয়। আপনারা আস্তে আস্তে ঘাটে যাবেন। তাড়াহুড়ো করবেন না। কারণ জলে পুজো হয়। তাই সাবধানতা বজায় রাখবেন। আমি ছটপুজো উপলক্ষে গান করেছি। তাতে ভুল হলেন আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বৃহস্পতিবার ঘাটে পুলিশ সেই গান চালাবে।”
advertisement
এদিন পোস্তা বাজারে জগদ্ধার্থী পুজোর উদ্বোধনে এসে উন্নয়নের নজির তুলে বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিপিএমের আমলের প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, “আগের বড়বাজার, পোস্তার চেহারা কী ছিল? আগে আগুন লাগলে নিয়ন্ত্রণ করা যেত না। প্রচুর জুলুম হত। আমরা চাই জুলুম যেন না হয়। এমন কিছু হলেই আপনারা অভিযোগ করবেন থানায়।” একসঙ্গে বন্দরের সঙ্গে জমি সমস্যা সমাধানে মন্ত্রী মলয় ঘটককে নির্দেশ দিয়ে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, ” বন্দরের সঙ্গে আপনাদের জমির সমস্যা আছে। এই বিষয়ে আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। আদালত কিছু নির্দেশ দিয়েছিল। এই বিষয়ে দ্রুত মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করবেন মলয় ঘটক। আমি কাজ ফেলে রাখা পছন্দ করি না। সব কাজ হয় না। যে কাজ হয় সেই কাজ দ্রুত সেরে ফেলা উচিত। কোভিডের সময়ে আমি একাই এসেছিলাম। পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলাম। আমি সবসময় পাশে ছিলাম।”
আরও পড়ুন: ‘এই’ শাক থেকে সাবধান…! ভুলেও ছোঁবেন না ‘এঁরা’! পাকস্থলীতে গেলেই শরীরের বারোটা বাজবে
উপনির্বাচনের মুখে বড়বাজার এলাকায় পুজোর উদ্বোধনে এসে বুধবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি ভোটের জন্য এখানে আসিনি। এখানে একটা ওয়ার্ড আমরা জিতেছি। বাকি তিন আসন বিজেপি জিতেছে। লোকসভাতেও আমাদের ভোট এখানে কম। আমি এখানে ভোটের জন্য আসিনি। আমরা এখানে কাকের মতো আসি। কোকিলের মতো আওয়াজ শুধু শুনতে ভাল লাগে। কিন্তু কাকের মতো আসি ও রোজ আমরাই পাশে থাকি।”
অবাঙালি অধ্যুষিত এই অঞ্চলে এসে ফের একবার মানবতার বার্তা দেন মমতা। তাঁর মন্তব্য, “এই এলাকা বহুভাষাভাষীদের। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখানে থাকেন। এখানে কে কী খাবে, কে কী পড়বে, কে কী বলবে এই নিয়ে জাতিগত সমস্যা হয়নি। মানবিকতা আসলে মানবিকতাই হয়। আপনারা আমাদের ভাই-বোন। বাংলায় থেকে বাংলাকে নিজের ঘর ভাবুন। নিজের না ভাবলে হবে কী করে।”