কিন্তু দুই বিধায়কের কেউ সম্ভবত কল্পনা করতে পারেননি, তাঁদের এই নিভৃতে আলোচনা শেষ পর্যন্ত দলনেত্রীর কানে গিয়ে উঠবে! বাস্তবে হলও তাই৷ সূত্রের খবর এ দিন কালীঘাটের বৈঠকে এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় দলের দুই বিধায়ক ইদ্রিশ আলি এবং আখরুজ্জামানকে৷
আরও পড়ুন: শিক্ষা দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত দল, ব্রাত্যতেই আস্থা মমতার! দিলেন গুরুদায়িত্ব
advertisement
তৃণমূল সূত্রে খবর, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের আগের দিন ট্রেনে করে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার সময় নিজেদের মধ্যে কিছু আলোচনা করেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ এবং ওই জেলারই রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক আখরুজ্জামান৷ অভিযোগ, দুই নেতাই দলের সমালোচনা করেন৷ সেই সমালোচনায় দলের শীর্ষ নেতাদের একাংশকেও নিশানা করেন দুই বিধায়ক৷
আরও পড়ুন: 'লজ্জা করে না?' সাগরদিঘিতে হার নিয়ে মমতার রোষে তৃণমূল সাংসদ
এ দিন কালীঘাটে দলের বৈঠকে হাজির ছিলেন ইদ্রিশ আলি এবং আখরুজ্জামান৷ দু' জনকেই কার্যত চমকে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'দল সম্পর্কে তোমরা কেন এ রকম কথা বলবে? ট্রেনে বসে তোমরা কী আলোচনা করেছো, সব আমার কানে এসেছে৷'
তবে শুধু দলের সমালোচনা নয়, সংবাদমাধ্যমে আলটপকা মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্যও এ দিন ইদ্রিশ আলিকে সতর্ক করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ একা ইদ্রিশ নন, একই কারণে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রেরও সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তবে বার বারই দলের নেতাদের তৃণমূলনেত্রী সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তাঁর নজর সবসময় সবার উপরে রয়েছে৷ ফলে কোন নেতা কোথায় কী করছেন, সেই খবর তাঁর কাছে পৌঁছে যায়৷