একই সঙ্গে গুরুদ্বার থেকে বেরনোর সময় মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ফের জানিয়ে দিয়েছেন, কৃষক আন্দোলনের প্রতি তাঁর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে৷
এ দিন বিকেলে হরিশ মুখার্জী গুরুদ্বারে যান মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee at Bhabanipur Gurudwara)৷ গাড়ি থেকে নেমেই সোজা গুরুদ্বারের ভিতরে গিয়ে প্রার্থনা করেন তিনি৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখতে গুরুদ্বারের বাইরে আগে থেকেই প্রচুর মানুষ অপেক্ষা করছিলেন৷ মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছতেই তাঁর সঙ্গে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে যায়৷
advertisement
আরও পড়ুন: টাইম ম্যাগাজিনের একশো জন প্রভাবশালীর তালিকায় জায়গা পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ভিতরে গিয়ে প্রার্থনা সেরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জাতীয় সঙ্গীত লিখতে গিয়ে শুরু করেছিলেন পঞ্জাব দিয়ে, শেষ করেছিলেন বাংলা দিয়ে৷ পঞ্জাব, সিন্ধু, গুজরাত, মরাঠা, দ্রাবিড়, উৎকল, বঙ্গ৷' মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্জাবি এবং বাঙালিদের অবদান অস্বীকার করলে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসই অসম্পূর্ণ থেকে যাবে৷
এ দিন হরিশ মুখার্জী রোডের ওই গুরুদ্বারে গিয়ে সরাসরি ভোট নিয়ে কোনও কথা বলেননি মুখ্যমন্ত্রী৷ কিন্তু ভবানীপুরে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক পঞ্জাবিদের মন জয়ই যে তাঁর লক্ষ্য ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি পঞ্জাবি ভাষা বেশি বলতে পারব না৷ কিন্তু গুরুদ্বারের হালুয়া খেতে খুব ভালবাসি৷ গুরুদ্বারে এলেই মন শান্ত হয়ে যায়৷'
নিজের ব্যস্ত সূচি এবং নির্বাচন কমিশনের বিধিনিষেধের কারণেই এলাকায় ঘুরে বা মিছিল করে ভোট প্রচার করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ তার বদলে এ ভাবেই জনসংযোগ বৃদ্ধির উপরে জোর দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷