পাল্টা তৃণমূলের কটাক্ষ, বাঙালিদের চিহ্নিত করে হেনস্থা, ডিটেনশন ক্যাম্পে ঢোকানোর ঘটনায় অসমের সঙ্গে আর কোনও বিজেপি রাজ্যই পাল্লা দিতে পারেনি৷ অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নিজে বাঙালিদের চিহ্নিত করে বিদেশি তকমা লাগানোর বার্তা দিয়েছেন। কাজেও তেমনটাই করেছেন বলে অভিযোগ তৃণমূলের।
আরও পড়ুন: ২১ জুলাই স্কুল ছুটি? নাকি হবে ক্লাস..সমাবেশের আগে ঘোষণা বহু স্কুল কর্তৃপক্ষের
advertisement
‘বাঙালি বিদ্বেষ’ ইস্যুতে এবার অসম সরকারকে তোপ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। অসমের বিদ্বেষের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো প্রতিটি বাঙালির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান, ‘‘দেশের দ্বিতীয় সর্বাধিক কথিত ভাষা বাংলা, অসমেও দ্বিতীয় সর্বাধিক কথিত ভাষা। যে মানুষজন অন্য ভাষা ও ধর্মের মানুষের সঙ্গে সহাবস্থান করে নিজেদের মাতৃভাষাকে সম্মানের সঙ্গে তুলে ধরার জন্য নিপীড়ন সহ্য করছেন, তাঁদের হুমকি দেওয়া বৈষম্যমূলক আচরণ ও সংবিধান বিরোধী।’’
সেই সহনশীল মানুষদের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁদের প্রতিরোধের ডাক দেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আহ্বান, ‘‘অসমে বিজেপির বিভেদের রাজনীতি সব মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং অসমের মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলবেই। আমি প্রতিটি নির্ভীক মানুষের পাশে দাঁড়াই যাঁরা নিজেদের ভাষার সম্মান, নিজেদের পরিচয় এবং প্রত্যেকের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন।’’
আরও পড়ুন: SSC নিয়ে আসছে বড় ঘোষণা! জড়িয়ে আছে উচ্চ মাধ্যমিকও…স্কুলে স্কুলে বার্তা পাঠাচ্ছে কমিশন
সম্প্রতি হিমন্তকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এটা বোঝা উচিত যে অসমে বাঙালি হিন্দুরা কেবল সুরক্ষিতই নয়, বরং বৃহত্তর অসমের সাথেও তাদের একীভূত করা হয়েছে… তারা তাদের ভাষা, ধর্ম পালন করছে এবং বৃহত্তর অসমীয়া সমাজের অংশ৷’’
হিমন্তের দাবি, অসমে অহমীয়া ও বাঙালিদের মধ্যে কোনও বিভেদ নেই৷ তবে, তিনি বাঙালিদের বিষয়ে তৃণমূল নেতার অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। “আপনি যদি বাঙালিদের প্রতি আদৌ আগ্রহী হন, তাহলে কেন আপনি পশ্চিমবঙ্গে সিএএ বাস্তবায়ন করছেন না?”
প্রসঙ্গত, ক’দিন আগে সাংবাদিকদের সামনে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘‘যাঁরা দেখবেন মাতৃভাষা বাংলা লিখেছে, তারা সবাই বিদেশি৷’’ হিমন্তের এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়৷ পরে অবশ্য হিমন্ত দাবি করেন, তাঁর মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে৷