সূত্রের খবর, বিধানসভায় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর দলীয় মন্ত্রীদের কাছে মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, 'সবাই বলে বামেদের আমলের কথা। আমাদের গত ১২ বছরে সংখ্যালঘু এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। তার পরেও কেন এই হাল হবে?'
আরও পড়ুন: '১০৫ শতাংশ DA দিচ্ছি, এর পর আর কী চাই!', বিধানসভা অধিবেশনে তোপ মমতার
advertisement
সাগরদিঘির ফল কেন খারাপ হল তা খতিয়ে দেখতে একটি অনুসন্ধান কমিটি গড়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন সাগরদিঘির মানুষ তৃণমূল থেকে কেন মুখ ফেরাল, তাঁদের ক্ষোভটা কোথায়, মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁকে জানাতে কমিটির সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা। পরে, বিধানসভার অধিবেশনে সাগরদিঘি নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার জবাবে বলেন, 'একটা সাগরদিঘি দেখিয়ে আঙুল তুলবেন না। মুখোশ খুলে গেছে। সিপিএম - কংগ্রেস -বিজেপি সব এক হয়ে গিয়েছে। এখন কে কাকে হারাবে, তার লড়াই চলছে। তৃণমূল একা লড়েছে।'
সাগরদিঘিতে হারের জন্য বাম -কংগ্রেস -বিজেপি-র অশুভ আঁতাতকেই ঢাল করেছিল তৃণমূল। আজ বিধানসভাতেও সাগরদিঘির ফলের জন্য এই জোটকেই নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই জোট নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি তিনি। বরং, দলীয় মন্ত্রীদের সাগরদিঘির ঘটনাকে মাথায় রেখে তাঁদের নিজ নিজ এলাকায় মানুষের ক্ষোভের বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারি চাকরির বিরাট সুযোগ, মন্ত্রিসভায় ঘোষণা মমতার! পাহাড় থেকে সমতল, সুযোগ সর্বত্রই
দলের একাংশের মতে, সাগরদিঘির ফল বেরনোর পরে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেছিলেন, তিনি এর জন্য কাউকে দায়ী করতে চান না। সাগরদিঘি নিয়ে প্রার্থী থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যু ছিল দলের কাছে। নির্বাচনের ঠিক আগে, সাগরদিঘির প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত সাহার স্মরণ অনুষ্ঠান ও পরিষেবা বিলি করতে গিয়ে সেটা বিলক্ষণ টের পেয়েছিলেন তিনি। তবু, সাগরদিঘির জনবিন্যাসের বিশেষ কারণের জন্যই হয়ত মুখ্যমন্ত্রী মনে করেছিলে,ন ক্ষোভ থাকলেও তা শেষ পর্যন্ত ভোটের বাক্সে তৃণমূলকে বিরুপ করবে না। কিন্তু,বাস্তবে ভোটের ফলে তা হয়নি। সে কারণেই সাগরদিঘি নিয়ে ভিতরে ভিতরে হয়ত এতটা 'হতাশ' মমতা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২৪ এর লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে সাগরদীঘির শিক্ষাকে হাল্কা করে দেখা উচিত নয়।
