মূল অভিযোগ কী নিয়ে? অভিযোগ, শান্তিনিকেতনকে ইউনেস্কো যে স্বীকৃতি দিয়েছে, উপাচার্য তার কৃতিত্ব নিজেই নিতে চাইছেন৷ সেই অভিযোগের অংশ হিসাবে বলা হয়েছে, শান্তিনিকেতনে শ্বেতপাথরের ফলক স্থাপন করা হয়েছে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসাবে এটি তকমা পাওয়ার পর৷ তাতে বিশ্বভারতীর আচার্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম রয়েছে আর রয়েছে উপাচার্যের নাম৷ কোথাও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই৷ আর তাই নিয়েই নানা মহল থেকে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ৷
advertisement
মমতা এদিন বার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘একদা গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্থান বিশ্বভারতীতে স্পষ্ট ও উদ্ধত আত্মকেন্দ্রীক নিজস্ব মহিমা তুলে ধরার কাজ চলছেই৷ ইউনেসকো শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসাবে ঘোষণা করেছে, কিন্তু স্থানীয় একজন স্মৃতি ফলকে দেওয়া নিজের নামের উদযাপন করেই চলেছেন৷ প্রতিষ্ঠানের পরিচয় থেকে যে ফলক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম মুছে দিতে চেষ্টা করছে, ভগবানের জন্য, দয়া করে সেই ফলক সরিয়ে দিন৷ দয়া করে সন্মান ও মানবিকতা দেখান৷ দিল্লির উচিত এই বিষয়টি দ্রুত শুধরে ফেলা৷’
এর আগেও মমতা একাধিকবার এই নিয়ে কথা বলেছেন৷ একটি সাংবাদিক বৈঠকে ফলক নিয়ে তিনি বলেন, ‘ওই ফলক না সরালে ও রবি ঠাকুরের নাম ফিরিয়ে না আনলে ওখানে আমাদের লোক রবীন্দ্রনাথের ছবি বুকে নিয়ে আন্দোলন করবে৷’ সেই মতো আন্দোলনও শুরু হয়েছিল৷ এমনকী বিজেপির একাধিক নেতাও এই নিয়ে বিদ্যুতের সমালোচনা করতে ছাড়েননি৷