ইতিমধ্যেই এই সূচিও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীপুজোর উদ্বোধন যে ক্লাবগুলির করে থাকেন এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। যদিও তিনি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন এ বছর প্রথম জেলায় জেলায় ভার্চুয়ালি করেছেন। দুর্গাপুজোয় তিন দফায় প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি পুজোর উদ্বোধন করেছেন। মহালয়ার দিন থেকেই বিভিন্ন জেলার পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে আবেগে ভাসলেন মমতা, উত্তরবঙ্গের মন জয়ে দুরন্ত চমক
নবান্ন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত সূচি অনুযায়ী এই চারটি কালীপুজোরই উদ্বোধন করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। প্রসঙ্গত, প্রত্যেকবারই মুখ্যমন্ত্রী নিজের বাড়িতেই কালীপুজো করেন। অন্যদিকে, সোমবারই উত্তরবঙ্গ সফরে যান মুখ্যমন্ত্রী। চার দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে জলপাইগুড়ির মাল বাজারে মাল নদীর হড়পা বানের নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে দেখা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা করার পাশাপাশি মঙ্গলবার মাল বাজারে একটি প্রশাসনিক বৈঠকের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ করেন। মৃতদের পরিবারের প্রত্যেক সদস্যকে চাকরির অফার লেটার ও এদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে তুলে দেন পরিবারের সদস্যদের। অন্যদিকে, যাঁরা সাহসিকতা দেখিয়ে বাসিন্দাদের উদ্ধার করেছিলেন হড়পা বান থেকে তাঁদের মধ্য থেকে সাতজনকে এদিন পুরস্কৃত করা হয়। ১ লক্ষ টাকার চেক ও একটি করে সম্মানপত্র এদিন তাঁদের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: দুয়ারে সরকার নিয়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! উত্তরবঙ্গকে বললেন, 'ভালবাসি'
বুধবার শিলিগুড়িতে একটি বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে যোগও দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই বিজয়া সম্মেলনীতে উত্তরবঙ্গের সব ক্লাবের সদস্যদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের শিল্পপতি-সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয় এই বিজয়া সম্মিলানিতে। ছিলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকর এই সম্মেলনী অনুষ্ঠানে। বৃহস্পতিবার দুপুরেই শিলিগুড়ি থেকে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়