পুজোর আগেই দলীয় নেতৃত্বকে এ-বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া সম্মিলনীর আবহে এই সভায় কোন বিষয়গুলি তুলে ধরতে হবে সেই সংক্রান্ত গাইডলাইনও দিয়ছিলেন অভিষেক।
ভবানীপুরে আগামিকাল দলের তরফে আয়োজিত বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে হাজির থাকবেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি একাধারে আবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়কও বটে। এই বিধানসভা কেন্দ্রের সব প্রতিনিধি ও বিশিষ্ট জনদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এই বিজয়া সম্মিলনীতে। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই বিজয়া সম্মিলনী হবে আলিপুর উত্তীর্ণতে।
advertisement
বিজয়া সম্মিলনীতে স্বাভাবিক ভাবেই বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় ও মিষ্টিমুখের পাশাপাশি এই সভাগুলিতে বাংলার উন্নয়ন, কেন্দ্রের অবিচার, অন্য রাজ্যের তুলনায় বাংলায় উচ্চমানের জীবনযাপন, কেন্দ্রের আর্থিক বৈষম্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের কর্মসংস্থানের সদিচ্ছা দেখিয়ে নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের ফর্মুলা— এসবই উঠে আসবে সভার বক্তৃতায়। বক্তা হিসেবে কাদের রাখতে হবে সেই নির্দেশিকাও দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানে বলা হয়েছে ব্লক নেতৃত্ব তো বটেই, জেলা নেতৃত্ব, এমন কি রাজ্যের নেতা- নেত্রীরাও যাবেন বক্তৃতা দিতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই সভাগুলি একপ্রকার মহড়ার কাজ করবে।
বহু বছর ধরেই পুজোর পর বিজয়া সম্মিলনী করে আসছে দল। এবারও তাই হবে। তবে এবার বিজয়া সম্মিলনীর গুরুত্ব আলাদা। বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব চাইছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা যত বেশি করে সম্ভব মানুষের কাছে যান। তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরুন। সাধারণ মানুষ সরকারি পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না তা দেখুন। তাঁদের পাশে থাকুন।