মহুয়া ইস্যুকে কেন্দ্র করেই ফের ইন্ডিয়া জোটের ঘুরে দাঁড়ানোর কথাও শোনা গিয়েছে তৃণমূলনেত্রীর গলায়৷ মহুয়য়ার পাশে থাকার জন্য ইন্ডিয়া জোটে থাকা সব দলকেই ধন্যবাদও জানিয়েছেন মমতা৷
ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন কাণ্ডের তদন্ত চলার সময় থেকেই মহুয়া মৈত্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেস সহ বিরোধী দলের সাংসদরা৷ এ দিনও সংসদে মহুয়ার বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ হওয়ার পরেই সংসদেও মহুয়ার হয়ে জোর সওয়াল করেন বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী, কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারিরা৷ মহুয়ার বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের ঘোষণা হতেই বিরোধী দলের অন্যান্য সাংসদদের সঙ্গে ওয়াক আউট করেন সনিয়া গান্ধি, রাহুল গান্ধিরা৷ এমন কি সংসদের বাইরে মহুয়ার সাংবাদিক বৈঠকের সময়ও তাঁর পাশে ছিলেন সনিয়া- রাহুল৷
advertisement
আরও পড়ুন: ‘শেষ দেখে ছাড়ব!’ বহিষ্কারের পরই হুঙ্কার মহুয়ার
বিরোধীরা যেভাবে একজোট হয়ে মহুয়ার পাশে থেকেছেন, তার প্রশংসা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ এ দিন কার্শিয়াং থেকে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটকে অভিনন্দন৷ আমরা একসঙ্গে আছি৷ আমরা একসঙ্গেই লড়ব৷ এই ঘটনা আমাদের চোখ খুলে দিল, যে বিজেপি কতটা প্রতিহিংসাপরায়ণ৷’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি আশা করেছিলেন যে মহুয়ার বহিষ্কার রুখতে হস্তক্ষেপ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মমতার কথায়, ‘সবশুনে আমি স্তম্ভিত৷ এটা গণতন্ত্রের পক্ষে দুঃখের দিন৷ এই ঘটনা মহুয়াকে আরও শক্ত করবে৷’
মহুয়া কাণ্ডের পর এ দিন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি একসঙ্গে এর বিরোধিতা করেছে, এটা ভাল দিক৷ আমরা দক্ষতার সঙ্গে আমাদের ভূমিকা প্রমাণ করেছি৷ তৃণমূল প্রমাণ করেছে কীভাবে সহযোগী দলগুলিকে নিয়ে আন্দোলন করতে হয়৷’
বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীও বলেন, ‘বাংলার একজন মেয়েকে বিচার না করে ফাঁসি দিয়ে দেওয়া হল৷ কেন, কারণ তাঁর প্রশ্ন তাঁদের পছন্দ নয়৷ অথচ প্রধানমন্ত্রী সবসময় মহিলাদের নিয়ে এত বড় বড় কথা বলছেন৷’
প্রসঙ্গত, ছত্তিশগড়, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশে বিজেপি-র একপেশে জয়ের পরই কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও বলেছিলেন, কংগ্রেসের ভুলেই তিন রাজ্যে সহজ জয় পেয়ে গেল পদ্ম ব্রিগেড৷ এমন কি, দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকেও যায়নি তৃণমূলের কেউ৷ শেষ পর্যন্ত বাতিলই করে দিতে হয় ওই বৈঠক৷ তবে এ দিন মহুয়া ইস্যুতে এ দিন যেভাবে কংগ্রেস এবং তৃণমূল পরস্পরের পাশে থাকল, তাতে ভোটের ফলে হতদ্যম হয়ে পড়া ইন্ডিয়া জোট ফের নতুন অক্সিজেন পেল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷