মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন স্বপন দাশগুপ্তর নাম না করেই বলেন, "তারকেশ্বরে প্রার্থী নিয়ে এল দিল্লি থেকে। কী দরকার ছিল? হেরে গেলে ও দিল্লি যাবে। ও এখনও নমিনেটেড মেম্বার। আর আমার ছেলে এখানের। ও কিন্তু এখানেই থাকবে।"
স্বপন দাশগুপ্ত সম্পর্কে মমতার উবাচ, "মোদি এসে বললে ওই লোকটাকে (স্বপন দাশগুপ্ত) ভোট দিয়ে আসবেন না তো? ওই লোকটা শান্তিনিকেতনে গিয়ে কী সব করে এসেছে। মেলা, দোল বন্ধ করে দিয়েছে। আমি আরও কিছু জানলেও বলব না।" অর্থাৎ মোদির কথার প্ৰভাবকে ওড়ালেন না মমমতা। তাঁর নামও নিলেন একাধিক বার, ব্যাঙ্গ করলেন সোনার বাংলা নামক সংকল্পটিকেই। মমতার কথায়,"আজ আমার মিটিং এর ১৫ কিমি দূরে মিটিং করছে। কি সব উল্টোপাল্টা বলবে। প্রথমেই বলবে সুনার বেঙ্গল। তুমি আমার বাংলাকে অপমান করবে কেন? অসম্মান করবে কেন?
advertisement
প্রসঙ্গত বেশ কয়েকটি আসনেই সাংসদদের লড়াচ্ছে বিজেপি। বাবুল সুপ্রিয় লড়াই করছেন টালিগঞ্জে, হুগলির চূঁচূড়ায় লড়ছেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায়। স্বপন দাশগুপ্তকে রাজ্যসভা থেকে তারকেশ্বরে নিয়ে আসা হয়েছে ।পর্যবেক্ষকরা এর নানা ব্যখ্যা দিচ্ছেন। অনেকে বলছেন, হিন্দু ভোট তারকেশ্বরে এমনিই একজোট, স্বপন দাশগুপ্তের ধোপদুরস্ত ইমেজ এখানে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন কয়েক আগেই সাংসদ পদে বহাল থাকা অবস্থায় লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে আনার জন্য লকেটকে বেচারা বলে কটাক্ষ করেছেন। আজ অবশ্য তাঁর সুর নরম হল না।তাঁর শ্লেষ, "একজন তো গলার লকেট হয়ে বসে আছে।"
সংখ্যালঘু ভোটভাগের প্রসঙ্গে এল শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম নিলেন না। কিন্তু বললেন, ওই শয়তান ছেলেটা যেটা বেরিয়েছে বিজেপির টাকা নিয়ে। ওর কথায় সংখ্যালঘু ভোট ভাগ হতে দেবেন না।নন্দীগ্রামে বহিরাগতদের ঢোকানের অভিযোগ অতীতে একাধিকবার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজও বললেন, "মুজফফর থেকে ওৰা বোম এনেছে। বিহার থেকে গুন্ডা এনেছে। বয়ালের বুথের বাইরে পেট্রোল বোমা নিয়ে বসেছিল। "
বারংবার এল মাহেশ থেকে তারকশ্বর, তীর্থগুলির প্রসঙ্গ। পাশাপাশি এল ক্ষুদ্র তাঁতশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বললেন, তিন বছরের অর্ডার এখন থেকেই দিয়ে দিচ্ছি। এই সামান্য বাক্য়টি দিয়েও আসলে বোঝাতে চাইলেন জয় নিয়ে ঠিক কতটা কনফিডেন্ট তিনি।
শেষ লগ্নে তিনি বললেন, "সারা পৃথিবীর মানুষ তাকিয়ে আছে এখানে। কারণ মোদি গণতন্ত্র বলে মানে না।" মমতার কথা ধরেই বলতে হয়, সারা পৃথিবী না হলেও গোটা দেশ তাকিয়ে আছে বাংলার দিকে। আর তার ফল জানা যাবে ২ মে।