রাজনৈতিক বিষয়ে যাঁরা প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর রাখেন তাঁরা বলছেন, কাজরী বন্দোপাধ্যায় হতে চলেছেন এমন একজন যিনি ভোটে জিতলে তার সাথে প্রতিনিয়ত দেখা হবে মুখ্যমন্ত্রীর। ভালো কাজের জন্যে যেমন সাজেশন ও শুভেচ্ছা দুটোই পাবেন, তেমনই কাজে কোনও ত্রুটি হলে সবচেয়ে বেশি বকাও তিনি খাবেন। আর এই অবস্থান নিয়ে রীতিমতো আলোচনা বাকি প্রার্থী বা দলীয় কর্মীদের মধ্যেও।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘কর্মসূচি' নয় 'ধর্মসূচি' আছে ওদের, পুর প্রচারে বিজেপিকে কটাক্ষ নচিকেতার
কাজরী বন্দোপাধ্যায় অবশ্য প্রচারে জোর দিয়েছেন ঘরে ঘরে পৌছে যাওয়ার দিকে। পটুয়া পাড়ার গলি থেকে তস্য গলি হোক বা হাজরা, কালীঘাটের ফ্ল্যাট বাড়ি। কাজরী বন্দোপাধ্যায় প্রচার সারছেন সর্বত্র। দলীয় কর্মীরা বলছেন, 'দিদি'র ওয়ার্ডে প্রচারে সকলের কাছে যাচ্ছেন 'বৌদি'।
এমনিতেই তিনি চেনা মুখ। দীর্ঘ দিন ধরেই এই ওয়ার্ড তৃণমূলের দখলে। তবে এই ওয়ার্ডকে মডেল ওয়ার্ড হিসাবেই গড়ে তুলতে চান তিনি। কাজরী বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "দিদির সাজেশন নিয়েই প্রচারে বেড়িয়েছি। দিদি বলেছেন সকলের কাছে পৌছে যেতে। ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে। তাঁরা কী চাইছেন, কী ভাবছেন তা জানতে। আগামী দিনে কলকাতায় এই ওয়ার্ডকে আমরা মডেল ওয়ার্ড বানাব৷"
আরও পড়ুন: ভোট প্রচারে ফিরহাদের পাড়ায় সুকান্ত, চায়ের দোকানেও জনসংযোগ বিজেপি রাজ্য সভাপতি
ইতিমধ্যেই এই ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেল, দেওয়ালে দেওয়ালে তৃণমূল প্রার্থীর নাম। রাস্তা জুড়ে ব্যানার-কাট আউটে কাজরী বন্দোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন রতন মালাকার। দল এবার তাঁকে প্রার্থী করেনি। তিনি নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়ালেও পরে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। যদিও বাকি বিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের সে অর্থে প্রচারে দেখা যাচ্ছে না বলেই জানাচ্ছেন স্থানীয়রা।
২০২১ -এর বিধানসভা ভোটে যে ফল ছিল এই ওয়ার্ডে, সেই ব্যবধান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে ভবানীপুর বিধানসভার উপ নির্বাচনে। ফলে জয় নিয়ে ভাবিত নয় তৃণমূল। তবু প্রচারে এক ইঞ্চি খামতি রাখতে রাজি নন প্রার্থী। নিজেই বলছেন, "আমার আশীর্বাদ দিদি আমাকে গাইড করছেন। আর বকা খেলে আরও ভালো কাজ করব।" নজরকাড়া ওয়ার্ডে তাই পুরভোটের নজরে কাজরী বন্দোপাধ্যায়।