প্রসঙ্গত, পুজোর মরশুমকে জনসংযোগে পুরোপুরি ব্যবহার।দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পুজোর প্রতিদিন নিজের এলাকার সব পুজোয় যাওয়ার জন্য বিধায়ক, সাংসদ, পুরপ্রধান ও সাংগঠনিক নেতাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারাদিন বিভিন্ন ক্লাবে ও পাড়ায় গিয়ে সময় কাটাতে হবে। সকলের সঙ্গে কথা বলতে হবে।পঞ্চায়েতের আগে পুজোকে ঘিরে জনসংযোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের এবার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার দুর্গাপুজোয় বাইরে বেড়াতে যাওয়া যাবে না। বাতিল করতে হবে পুজো সফর। এমনকি, এই উৎসবের সময় এলাকায় থাকতে হবে বলে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। দলীয় স্তরে এই নির্দেশিকা জারি করে মমতা বন্দ্যোপাধায় বলেছেন, ‘‘ মানুষের কাজ করতে হবে, যাতে কেউ উৎসবের সময় বিপদে না পড়েন। মানুষ তো এই জন্য ভোট দেন। বিপদে তাঁরা যদি পাশে না পান তাহলে ভোট দেবেন কেন?’’
advertisement
আরও পড়ুন : প্রাপ্তি শূন্য, গোয়ার ভোটে খরচের নিরিখে সবার আগে তৃণমূল! ধারে কাছে নেই অন্য কোনও দল
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্গাপুজোয় শান্তি বজায় রাখতে জনপ্রতিনিধিদের কড়া নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘‘ আমাদের দলের অনেক বিধায়ক, সাংসদ আছেন যাঁরা দুর্গাপুজোর সময় বেড়াতে চলে যান। কেন যান? কোটি কোটি মানুষ তখন রাস্তায় থাকেন। বাইরে থেকে লোক আসেন। বিপদ হলে কে দেখবে? আপনি যদি বিপদে পাশে না থাকেন, মানুষ থোড়াই কেয়ার করবে। আমি পুজোর সময় জীবনে কলকাতা ছাড়ি না।’’
আরও পড়ুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় উঠে এল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতি
সুতরাং তাঁর এই নির্দেশের পর দলীয় নেতারা কেউ বেড়াতে যাবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, উৎসবের সময় বহু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়। তাই এই সময়টাকে কাজে লাগানো হচ্ছে৷ বলা হয়েছে সকাল-সন্ধ্যা সমস্ত পুজো প্যান্ডেলে যেতে। সেখানে গিয়ে বসতে। সকলের সঙ্গে কথা বলতে। প্রয়োজনে একটি পুজো মণ্ডপে দু'বার করে যেতে। শুধু আমন্ত্রণ পেয়ে উদ্বোধন করে চলে আসলে হবে না। যেতে হবে তার পরেও৷ এছাড়া সাংসদদের বলা হয়েছে এই জনসংযোগ তার সংসদীয় এলাকাতেও চালিয়ে যেতে হবে।