মমতা একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বলেন, আমার আজ কর্মীদের প্রতি কয়েকটি বার্তা আছে, আপনারা কেই না শুনে চলে যাবেন না। শুনবেন। তারপরেই একেবারে গ্রাম স্তরে সংগঠনের দিকে নজর দেওয়ার কথা বলেন মমতা। আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, যে খানে ডাকবেন, সংগঠনের কাজে, মানুষের কাছে থাকতে আমি পৌঁছে যাব। মমতা বলেন, আমি চাই আমার দলের কর্মীরা যেন সাইকেল নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘোরে।
advertisement
আরও পড়ুন: আমি যা চাইছিলাম, বিজেপি নেতারা তাই করেছেন! একুশের মঞ্চে বিরাট ঘোষণা অভিষেকের
মমতা নির্দেশ দিয়ে বলেন, গ্রামে গ্রামে সাধারণ কর্মীদের সাইকেল নিয়ে ঘুরতে হবে। সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে হবে। আমি চাই বিধায়করা পায়ে হেঁটে এলাকায় এলাকায় ঘুরবেন। আমি চাই আমাদের সাংসদরা রিক্সা করে এলাকায় এলাকায় ঘুরবেন। এলাকায় সাধারণ মানুষের কাছে বসতে হবে। চায়ের দোকানে বসে কথা বলতে হবে, সাধারণ মানুষকে দরকার হলে চা খাওয়াবেন, কিন্তু সেখানে মানুষের পাশে থাকবেন।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের শহিদ দিবসেই বিজেপির 'বিজয় উৎসব'! লক্ষ্য দ্রৌপদী-অস্ত্রে বাজিমাত
পাশাপাশি মমতা বলেন, মনে রাখবেন ব্যক্তি নয়, দল অনেক বড়। দলের কথা সবার আগে ভাবতে হবে। আমি একুশে জুলাইয়ের চাঁদা নিয়ে কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছি। এমন অভিযোগ পেলে চলবে না। কেউ দলের নাম করে কোনও টাকা তুলবেন না। এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। মমতার কড়া নির্দেশ মূলত পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখেই বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রাম স্তরে কোনও ভাবে যাতে এই নিয়ে ক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেই কারণেই মমতার এই মন্তব্য বলে মনে করছেন অনেকে।
সোমরাজ বন্দ্যোপাধ্যায়