এদিন ধনধান্য স্টেডিয়ামে একটি বিশেষ প্রশাসনিক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সেখানেই তিনি ভাঙড় ডিভিশনেরও উদ্বোধন করেন৷ আর উদ্বোধন করলেন ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্পের৷ মমতা জানান, এবার থেকে রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ বিভাগ চালু করল ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্প। ছাত্র ছাত্রীদের প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার প্রশিক্ষণ মিলবে এই প্রকল্পে।
মমতা বলেন, ‘‘অনেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে অবজ্ঞা করেন। বাংলা মিডিয়ামের ছেলেরা ভাল ইংরেজি বলতে না পারলে অবহেলা করা হয়। বাম আমলে ইংরেজি শিক্ষা তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমরা চালু করেছি। আজকের ছাত্রছাত্রীদের কী প্রয়োজন? মেধার কী প্রয়োজন তা গড়ে তোলা হচ্ছে। অনেক জায়গায় ইংরেজি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। wbcs অফিসারেরা এক সময় ইংরেজি ড্রাফট করতে যথাযথ পারত না৷ নানা অসুবিধার কথা বলত। এখন তাঁদের ব্রিটেনে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়ে আসছেন।’’
advertisement
এবার থেকে প্রতিবছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে স্টুডেন্টস উইক পালিত হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘স্টুডেন্টসদের সব এই সময় দিতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক হবে। এটা বদল হবে না। আমি প্রতিবার ৮ জানুয়ারি আসব সবার সামনে। প্রিন্সিপাল, সহ বাকিদের থেকে খোঁজ খবর নেব।’’এরপরেই স্মৃতিচারণা করেন মমতা৷ বলেন, ‘‘গরিব হয়ে জন্মানো অপরাধ নয়। মানুষ করে গড়ে তোলা আমাদের কাজ। উচ্চশিক্ষার জন্যে আমাকেও মটরমালা বিক্রি করতে হয়েছিল।’’
এদিন শিক্ষা ব্যবস্থা সংক্রান্ত একাধিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ ‘যোগ্যশ্রী’ প্রকল্প চালু হওয়ার পাশাপাশি এদিন থেকেই স্টুডেন্টস ইন্টার্নশিপ স্কিম চালু হল বলেও জানান মমতা। ছোট থেকেই সরকারি কাজে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এই প্রকল্পে। ২৫০০ ছাত্র-ছাত্রী এই সুযোগ পাবেন। তাঁদের যোগ্যতা বিচার করে চাকরি রিনিউ হতে পারে। ইন্টার্নশিপে ১০ হাজার করে দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট ছাত্রছাত্রীদের।
এছাড়া, সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং রুখতে টোল ফ্রি নাম্বারের নোটিফিকেশন বোর্ড বসবে বলে জানান মমতা। তাঁর দাবি, ‘‘এডুকেশন সেক্টরে রাজ্য সেরা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষাতেও এক নম্বরে। যাদবপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সেরা হয়েছে। তাহলে বাংলাকে ছেড়ে যাবেন কেন? আমাদের হয়ত কিছুই নেই। কিন্তু কী করে চালাচ্ছি সেটা দেখুন। আমাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংসার চালাতে হয়। তাও এত সামাজিক স্কিম আমাকে চালাতে হয়।!’’