তবে, এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। এই দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''আগে তো ইউনাইটেড ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম ছিল। কিন্তু সেটা এখন বন্ধ হয়ে আছে কেন? কার নির্দেশে এটা বন্ধ করা হয়েছে? কারা এত বড় বড় নেতা দেখি তো? দু’বছর হয়ে গেছে, তবু কাজে দেরি করছে। তা হলে শিল্প হবে কী করে?''
advertisement
এদিনের বৈঠক থেকে হাওড়ায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যে জমি নিয়ে মূল সমস্যা, তা কাটাতে সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ১৪ ডিসেম্বর হাওড়ায় সিনার্জি হবে। তার আগে সব জমি সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে হবে। দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে তিনি সাফ বলেন, ''বিনিয়োগ নিয়ে কোনও রকম সমস্যা আর আমি বরদাস্ত করব না।''
আরও পড়ুন: বিধানসভায় শোরগোল ফেললেন দিলীপ ঘোষ! সব নজর ঘুরে গেল ফিরহাদ-মলয়ের ঘরের দিকে
প্রসঙ্গত, গতকাল মধ্যমগ্রামে পূর্ত দফতরের কাজে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ত দফতরকে হেলদোল দফতর বলেও নিজের উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। তারপর আজ আবার হাওড়া জেলায় জমি সমস্যা নিয়ে সরব হলেন তিনি। এদিনের বৈঠক থেকেও হাওড়া জেলার উন্নয়নের খতিয়ান নিয়েছেন তিনি। হাওড়ায় কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ বাকি আছে, তা নিয়েও প্রশাসনিক অফিসারদের কাছে রিপোর্ট নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী...', আরও বড় 'বিস্ফোরণের' ইঙ্গিত দিলেন তথাগত রায়!
তিনি যে শিল্প নিয়ে কতটা উদ্যোগী, তা এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে তুলে ধরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, হাওড়ায় আগামী ২ বছরে ১০ হাজার ৪৮০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে। আর সেই কারণেই হাওড়া শিল্প পার্কের কাজ আগামী ৫ বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মত আধিকারীকদের কাজ করার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই এদিন জমি সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন বিনিয়োগকারীরা। এরপরই দলীয় নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন তিনি। একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ফায়ার স্টেশনও থাকবে। হাওড়া জেলায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার কর্মসংস্থান হওয়ার কথা এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে।