এখানেই শেষ নয়, তিনি বলেন, ''১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। অনেক কর্মসংস্থান হবে। আগামী দু তিন বছরে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে সেল গ্যাসের উৎপাদনে। একটা বড় শিল্প সম্ভাবনা শুরু হয়েছে। নয়াচরের ক্ষেত্রে আগের সরকারের আমলে চুক্তি হয়েছিল। এই চুক্তিটা আমরা বাতিল করে দিলাম। এখানে আমরা অ্যাকোয়া হাব তৈরি করতে পারব। অ্যাকোয়া হাব ও সোলার পার্ক ৯ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে।''
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের প্রচারে রুদ্রনীল ঘোষ! রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল শুরু, বিষয় কী?
রাজ্য শিল্প মানচিত্রে নয়াচর নতুন নাম নয়। এর আগে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী বিদ্যুৎ দফতর, মৎস্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেছিলেন। সেই বৈঠকেই নয়াচর নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা তৈরি শুরুর প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্য। নবান্ন সূত্রে খবর, এই নয়াচরে ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সোলার প্লান্ট গড়ে তুলতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ নয়াচরের প্রতি বর্গমিটার জমি বছরে ১৭০০ কিলোওয়াট সৌর বিকিরণ পায়। বিশেষজ্ঞদের এই মতামতকে গুরুত্ব দিয়েই মুখ্যসচিব একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন। বৈঠকে অচিরাচরিত শক্তি দফতরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নবান্ন যাওয়ার পথে হঠাৎ এসএসকেএম-এ মুখ্যমন্ত্রী! কেন? গুঞ্জন শুরু নানা মহলে
এবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় সেই সিদ্ধান্তেই কার্যত সিলমোহর পড়ল। প্রসঙ্গত চলতি বছরে অপ্রচলিত উৎস থেকে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ তৈরির ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর মধ্যে সৌর বিদ্যুতের পরিমাণ হবে এক লক্ষ মেগাওয়াট। এই সোলার পার্ক সেই লক্ষ্য পূরণে অনেকটাই সাহায্য করবে বলেই নবান্নের শীর্ষ মহল মনে করছে।