নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসআইআর-এর খসড়া ভোটার তালিকা থেকে ৪৪৭৩৭ জন ভোটারের নাম বাদ গিয়েছে৷ এ দিন কলকাতা, বেহালা, সোনারপুর, বারুইপুর, দমদম, সল্টলেক, কামারহাটি, হাওড়া এলাকার তৃণমূলের বিএলএ-দের নিয়ে মূলত এই বৈঠক করেন তৃণমূলনেত্রী৷ খসড়া তালিকায় যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, সেই ভোটারদের কীভাবে সাহায্য করতে হবে, কোন ইস্যুগুলির উপর পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে ভোটারদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে, তা নিয়েই মূলত পরামর্শ দেন মমতা৷
advertisement
সেই সভাতেই নিজের বক্তব্যের শেষ দিকে নিজের ভবানীপুর কেন্দ্রে ৪৪ হাজারের বেশি ভোটারের নাম বাদ যাওয়া নিয়ে সরব হন তৃণমূলনেত্রী৷ শুধু ভবানীপুর নয়, খসড়া ভোটার তালিকায় কলকাতা বন্দর সহ কলকাতা দক্ষিণ এবং উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক বিধানসভার বিপুল সংখ্যক ভোটারদের নাম বাদ গিয়েছে৷
সেই প্রসঙ্গেই এ দিন মমতা বলেন, কোথাও ৫৯ হাজার, কোথাও ৭২ হাজার বাদ৷ আমার ভবানীপুরেও ৪৪ হাজার বাদ৷ নির্বাচন কমিশন ভাবছে বাদ দিয়ে আমাদের হারাবেন, আপনারাই বাদ চলে যাবেন৷ হারিয়েও দিয়ে তার পর বলব, দ্যাখ কেমন লাগে৷
পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘ওর দিল্লি কেড়ে নেবো৷ বাংলা জিতলে দিল্লি কাড়ব৷ ওর সরকার পড়ে যাবে৷ বাংলাকে বঞ্চিত করতে গিয়ে নিজেরা পিছু হঠবে৷ যাঁরা বিজেপি-কে ভোট দিত, তাঁদের বলব ওদের ভোট দেবেন না৷ এরা আপনার সব কেড়ে নিচ্ছে, এদের ভোট দেবেন না৷ ভয় পাবেন না, বাংলায় কোনও ডিটেনশন ক্যাম্প হবে না৷ জন গণনা না করে এসআইআর করছে, পুরোটাই ব্লান্ডার৷’
এ দিনের সভা থেকেও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় বহিরাগতদের নিয়ে এসে রাখার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ তাঁর আশঙ্কা, এই বহিরাগতদের নামই কৌশলে ভোটার লিস্টে ঢোকানোর চেষ্টা করা হবে৷ দলের নেতাকর্মী এবং বিএলএ-দের সতর্ক করে তৃণমূলনেত্রীর পরামর্শ, কত গেস্ট হাউস এখন থেকে বুক করে রেখেছে এখন থেকে৷ প্রতিটা পাড়ায় পাড়ায় সতর্ক হয়ে যান৷ কোনও কোনও হোটেল তো সারা বছর বুক করে রাখে৷
