তৃণমূল নেত্রীর কথায়, ”দল মহুয়ার সঙ্গে ছিল আছে থাকবে। তোমরা সিবিআই করবে, তদন্ত করবে। আর মহুয়াকে কথা বলার সুযোগই দেয়নি। এটা গণতন্ত্রের সন্মানহানী করা। আজ তাদের মেজরিটি আছে। আমাদের আছে ২/৩ মেজরিটি আছে। আমরা তো তাহলে যে কাউকে হাউস থেকে সরিয়ে দিতে পারি। আমরা এটা করি না।”
আরও পড়ুন: বাড়ল শ্বাসকষ্ট, অবস্থার অবনতি! ICU-তে স্থানান্তরিত করা হল মদন মিত্রকে!
advertisement
মমতার সংযোজন, ”মহুয়ার সঙ্গে তো পার্টি রয়েছে। ও তো আমাদের দলের প্রেসিডেন্ট আছে। মহুয়া ভিকটিম এই ঘটনার। আমি তীব্র প্রতিবাদ করছি। আমাদের দল লড়াই করবে। আজ সংসদের জন্য দুঃখের দিন। কিন্তু মহুয়া লড়াই করবে।”
তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, ”৪৯৫ পাতার রিপোর্ট আজই জমা পড়েছে। ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হয়েছিল। আমি এটা বুঝতে পারিনি, কীভাবে ৩০ মিনিটের মধ্যে এই রিপোর্ট পড়া সম্ভব! আমি ইন্ডিয়া জোটকে ধন্যবাদ জানাই, তারা আজ সরব হয়েছে।”
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার খোয়ানোর পরই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হাসপাতালে ভর্তি কেসিআর!
এদিন মহুয়াকে বহিষ্কারের পরই সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধি মূর্তির সামনে জড়ো হন বিরোধী দলের সাংসদরা৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন সনিয়া গান্ধি এবং রাহুল গান্ধিও৷ সেখানেই মহুয়া বলেন, ‘এথিক্স কমিটি বিরোধীদের কোণঠাসা করতে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ কোনও নিয়মের ধার ধারা হয়নি৷ দু জনের ব্যক্তিগত বয়ানের ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হল৷ তাঁদের কাউকে আমি প্রশ্ন করার সুযোগ পেলাম না৷ আমি উপহার, টাকা নিয়েছি, এরকম কোনও প্রমাণ নেই৷ যে সাক্ষ্যের ভিত্তিতে আমাকে বহিষ্কার করা হল, সেগুলি পরস্পর বিরোধী৷ সাংসদদের লগ ইন পোর্টাল কাউকে দেওয়া যাবে না এরকম কোনও নিয়ম নেই৷’ মহুয়া আশঙ্কা প্রকাশ করে আরও বলেন, ‘সব নিয়মকে ভেঙে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল৷ কালকেই হয়তো আমার বাড়িতে সিবিআই আসবে৷ ৬ মাস আমাকে হেনস্থা করা হবে’৷ সব শেষে বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘মানুষের যখন বিনাশ হয়ে তখন সবার প্রথমে বুদ্ধি লোপ পায়৷ এটাই আপনাদের শেষের শুরু৷ আমরা ফিরে আসব এবং আপনাদের শেষ দেখে ছাড়ব৷’