এদিন এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, ‘আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, নীতি আয়োগ আনুষ্ঠানিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক সূচকগুলিতে, বিশেষ করে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে, শক্তিশালী পারফরম্যান্সকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ২০২২-২৩ সালে রাজ্যের বার্ষিক বেকারত্বের হার ছিল মাত্র ২.২%, যা জাতীয় গড় ৩.২% এর চেয়ে ৩০% কম। নীতি আয়োগের সদ্য প্রকাশিত সারসংক্ষেপ প্রতিবেদনে আরও বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের ইতিবাচক অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে: –
advertisement
সাক্ষরতার হার: ৭৬.৩%, জাতীয় গড়ের ৭৩% (২০১১ সালের হিসাবে) থেকে বেশি।
শিক্ষার ফলাফল: জাতীয় গড়ের তুলনায় দশম ও দ্বাদশ শ্রেণিতে স্কুল ছাড়ার হার কম এবং পাসের হার বেশি।
আয়ুষ্কাল: ৭২.৩ বছর (২০২০), জাতীয় গড়ের চেয়ে বেশি।
লিঙ্গ অনুপাত: প্রতি ১,০০০ পুরুষের মধ্যে ৯৭৩ জন কন্যার জন্ম – জাতীয় গড়ের ৮৮৯-এর চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে ভাল।
শিশুমৃত্যুর হার: প্রতি ১,০০০ জীবিত জন্মে ১৯ জন (২০২০), এবং
মোট উর্বরতা হার: প্রতি মহিলার মধ্যে ১.৬ শিশু (২০১৯-২১), উভয়ই জাতীয় গড়ের চেয়ে ভাল
জীবনযাত্রার মান: রিপোর্টে নিয়মিত উন্নতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে গড়ের চেয়ে বেশি পারিবারিক পানীয় জলের অ্যাক্সেস। এগুলি উন্নয়নের প্রতি পশ্চিমবঙ্গের অব্যাহত প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। এর বাস্তবায়নে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের সকলকে অভিনন্দন। জয় বাংলা!’
প্রশাসনিক মহলের দাবি, কেন্দ্রীয় রিপোর্টে এই স্বীকৃতি বিরোধীদের সমালোচনাকে অনেকটাই ভোঁতা করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই রিপোর্টেরই প্রথম পাতায় ভারতের মানচিত্রে বাংলায় জায়গায় বিহার চিহ্নিত করা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।