মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, গঙ্গাসাগর মেলা মিটে যাওয়ার পর যেন এই জাহাজটা ক্লিয়ার করে দেওয়া হয়, সেটা দেখে নিতে হবে। এটা আমাদের জানা ছিল না। ২০১৩ সালে জাহাজটা ডুবে গেছিল। তারপর সেখান থেকে চর সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে গঙ্গাসাগরে যেতে সমস্যা হবে।” এরপরই তিনি বলেন, ”কীভাবে জায়গাটা মার্কড করবে, তার জন্য আমরা পরিদর্শন করব। জলের ৬০ লাখ পাউচ থাকবে। ৩০০ বেডের হসপিটাল থাকছে। ১০০+ অ্যাম্বুলেন্স রাখা হচ্ছে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হচ্ছে। শোলার ঘরগুলোতে অনেক সময় আগুন লেগে যায়। সেটার জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
advertisement
আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে অনুপমকে আরও গুরুত্বহীন করে দিল বিজেপি, বড় সিদ্ধান্ত নাড্ডার
গঙ্গাসাগরের মাহাত্ম্য বোঝাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”গঙ্গাসাগর মেলা আমাদের গর্ব। পৃথিবীর সব থেকে বড় মেলা। ৪০ লক্ষ মানুষ আসে। ১ ঘণ্টা আগে চিড়িয়াখানার সামনে থেকে এলাম। দেখলাম খুব ভিড়। কলকাতা পুলিশ কিছু মাইক্রোফোন ব্যবহার করছে। ট্রাফিককে আরও ভাল করে দেখতে হবে। পূণ্যার্থীদের জন্য ২২৫০ তো সরকারি বাস, ৩২টি ভেসেল, ১০০ টি লঞ্চ ব্যবহার করা হবে। রেলকে অনুরোধ করব মেলার আগে ও পরে বেশি ট্রেন চালাতে। ১৩ থেকে ১৭ বেশি ট্রেন চালাতে হবে।”
আরও পড়ুন: দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের বাইরে বিস্ফোরণের দাবি! ঘটনাস্থলে পুলিশ, মিলল পতাকায় মোড়া চিঠি
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার মুড়িগঙ্গায় ড্রেজিং থেকে শুরু করে গঙ্গাসাগর মেলা সংক্রান্ত সেচ দফতরের হাতে থাকা সমস্ত কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতে সাগরদ্বীপে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, লট-৮-এর অদূরে ২ এবং ৩ নম্বর পোলের মধ্যে নতুন করে একটি চর দেখা দিয়েছে। ড্রেজিংয়ের বাকি কাজ হয়ে গেলেও নতুন করে দেখতে পাওয়া এই চর কাটাই এখন প্রশাসনের কাছে বড় মাথাব্যাথার কারণ। এই চর কাটতে ড্রেজার নিয়ে আসা হচ্ছে ফরাক্কা থেকে।