একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন 'দুর্নীতি' প্রসঙ্গে কার্যত কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বলেন, "যাদের রং কয়লা, তারাই বেশি কয়লা কয়লা করে। পরপর বিএসএফ কতজনকে গুলি করে মারল, ধর্ষণ করল... সব টাকা দিল্লিতে নিয়ে যাবে ট্রাঙ্কে করে করে। আর দোষ হবে আমাদের।" মমতার প্রশ্ন, "ওদের ইলেকশনের টাকা যায় কীসে। ডিস্ট্রিবিউশন হয় কিসে? কেউ কেউ আবার ড্রাফট করে দেয়।" "আমার পরিবার সরকারের জমি দখল করে রয়েছি? এই ধরনের কোনও জমি সরকার থেকে নিয়েছি? আমি বলব, আপনাদের তদন্ত করে প্রমাণ হলে বুলডোজার দিয়ে উড়িয়ে দিন। আমি নিজে মুখ্য সচিব, ল্যান্ড সেক্রেটারিকে বলেছি তদন্ত করতে। আমি নিজের কাছে ক্লিয়ার থাকতে চাই।"
advertisement
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর আর্জি খারিজ! কুণালের মানহানি মামলায় দিতে হবে সশরীরে হাজিরা
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের সম্পত্তি বৃদ্ধি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে৷ এমন কি, তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারি সম্পত্তি বাজার মূল্যের চেয়ে কমে কিনে নিজেদের নামে করে নিয়েছেন, এমন অভিযোগও ছড়িয়েছে৷ এবার এই সমস্ত অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখতে নিজেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
দুর্নীতি প্রশ্নে জোরালো সওয়াল করে পরে মমতা বলেন, "এত নোংরামি জানলে রাজনীতি করতে আসতাম না। এটা সাধারণ মানুষের চেয়ার। যেদিন মানুষ চাইবে না থাকব না। আমি রেল মিনিস্ট্রি ১ ঘণ্টার নোটিসে ছেড়ে দিয়েছিলাম। তবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বই লিখলে হিংসা হয়। আমি এইসব কারও দয়ায় করি না। আমাকে নিয়ে সিপিআইএম, কংগ্রেস ব্যঙ্গ করে সোশ্যাল সাইটে। ১ কোটি টাকা রাজ্য সরকারকে দিয়েছি। ২০ লক্ষ রাজ্যপাল ফান্ড-এ দিয়েছি। কোনোদিন এইসব কথা বলেন না তো।"