সেই বৈঠকের পরই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বিচার ব্যবস্থার প্রতি পুরো সন্মান রয়েছেন। কোনও বিচারপতির বিরুদ্ধে আমাদের কোনও অভিযোগ নেই। আমি নিজেও আইনজীবী হিসেবে লড়াই করেছি কয়েকবার। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমি বিচারটা মেনে নিতে পারছি না। মানবিক ভাবে আমরা এটা মেনে নিতে পারছি না।”
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”রায়ের ৪৬ নম্বর প্যারায় পরিস্কার করে বলা আছে, যারা ইতিমধ্যে চাকরি পেয়েছেন, তাদের কোনও টাকা ফেরত দিতে হবে না। প্যারাগ্রাফ ৪৯-এ বলা হয়েছে, যাদের বাতিল করা হয়েছে, তাদের অ্যালাও করা যাবে যদি প্রয়োজন হয় বয়সে ছাড়, অন্যান্য ছাড় দিয়ে আবার অংশগ্রহণ করার জন্য নতুন নিয়োগে ছাড় দেওয়া যাবে।” মমতার সংযোজন, ”আত্মরক্ষার জন্য একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। এডুকেশন সিস্টেমটাকে ধ্বংস করা কি বিজেপির টার্গেট? ব্যাপম কেসে কী হয়েছে? ৫০টা লোককে খুন করা হয়েছে। কী শাস্তি হয়েছে? আমাদের এই কেসে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে জেলে রেখে দিয়েছে। আমরা তো কিছু বলিনি। একই অপরাধে কতবার শাস্তি পেতে হয়। এসএসসি একটা স্বশাসিত সংস্থা, আমরা হস্তক্ষেপ করি না।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারেই এদিন মমতা বলেন, ”আমি আরও একটা অবসারভেশন বলছি ১৫ নম্বর প্যারা থেকে। কেন বললাম এই গুলো? আমরা সুপ্রিম কোর্টের বিচার গ্রহণ করছি। আমরা তিনমাসের মধ্যে করে দেব। শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি তিনমাসের মধ্যে প্রক্রিয়া করতে। আমাদের অনুভূতিটা বলেছি।”
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেও তিনি বলেন, ‘বাংলাকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। বাংলাকে কি পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে? আমি এই মাটি তে জন্মেছি। তাই বিজেপির টার্গেটটা বুঝি। কেন্দ্র সরকারের টার্গেটটা বুঝি।”