মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, "যাঁরা ছট পুজো করে আর যারা সাহায্য করে তাদের সকলকে অভিনন্দন। ছট পুজো এখন মহাছটপুজো হয়ে গিয়েছে। আজ আর কাল ছট পুজোয় কোভিড বিধি মেনে, মাস্ক পরে অংশগ্রহণ করুন।"
এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আমিও ব্রত রাখি। সকাল থেকে শুধু চা খেয়ে আছি। গঙ্গাসাগরে সেই পুজো হয়। সবাইয়ের শান্তি হোক। আপনাদের সমাজ কল্যাণ পরিবার গোটা দেশের কাছে এই বার্তা দেওয়া হচ্ছে।"
advertisement
ছটপালনে ব্রতী মহিলাদের অভয় দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "প্রশাসন ও পুলিশ সবাই আপনাদের সাথে আছে। পুলিশকে বলব মাইকিং করে যেতে। যাতে সবাই সবাই আস্তে আস্তে পুজো করে৷ সবাই একসাথে মিলে চলুন। আমি ২০ বছর ধরে এখানে আসছি। প্রতি বছর আসতে ভালো লাগে। কাল ঠেকুয়া পাঠাবেন। সবাই ভালো থাকুন।অনেক ঘাটের সাথে ভারচুয়ালি যোগাযোগ রাখছি। এই সব এলাকার সঙ্গে মাটির যোগাযোগ।যখন যাদবপুর এর সংসদ হই তখন থেকে আসি।আগে ঘাট গুলো তে লাইট ছিল না।আমরা চেষ্টা করেছি সেইগুলো ঠিক করার।এমপি ল্যাড থেকে করেছি।১৩৮ ঘাট কলকাতায় বানিয়েছি।"
আরও পড়ুন-শুভেন্দু বিরোধিতার জের! মুখ খোলার ২৪ ঘণ্টায় বরখাস্ত হাওড়ার বিজেপি নেতা
সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়ে মমতার বার্তা, "ছট পুজো আমাদের কাছে বড়ো উৎসব।বাংলা ছটকে কম গুরুত্ব দেয় না।আমরা দুদিনের জন্য ছুটি দিয়েছি।আমরা আগে একদিন ছুটি দিতাম।কিন্তু পরে দেখলাম পুজো দুদিন ধরে হয়।"
প্রসঙ্গান্তরে গিয়ে মমতা বলছেন, কাল থেকে তিনিও ছট পুজোর জন্য ব্রত রেখেছেন। আসে ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা গণেশ পুজোর প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, "বাংলায় এখন অনেক গণেশ পুজো হয়।গঙ্গাসাগরে ৩০ লাখ দর্শনার্থী আসে। গঙ্গাসাগরে এখন অনেক উন্নয়ন করেছি। কাজ করতে হলে আচ্ছে দিন বলে লাভ নেই।"
আরও পড়ুন-ফিরে এল সাংসদ তহবিল, এবার আসল পরীক্ষা জনপ্রতিনিধিদের
ছট উৎসব যারা পালন করেন তারা বেশির ভাগই হিন্দিভাষী। বিলক্ষণ জানেন মমতা। তাই শেষে বললেন, "নিজের অপারগতা নিয়েই। হিন্দি উচ্চারণ নিয়ে তাঁর বক্তব্য, আমার হিন্দিতে ভুল থাকতে পারে। একটা দুটো ভুল হলে ক্ষমা করে দেবেন।কোনো বিতর্ক করবেন না।"