এ দিন বেলা দুটোর কিছু আগে নবান্নে পৌঁছন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব৷ মমতা নিজে নবান্নের গেটে এসে তাঁদের স্বাগত জানান৷ বৈঠক খুব বেশিক্ষণ না হলেও তার নির্যাস যে লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী জোট গঠন নিয়েই ছিল, তা স্পষ্ট করে দেন মমতা এবং নীতীশ৷
আরও পড়ুন: হেরে যাওয়া সাগরদিঘিতেও সভা! নবজাগরণ যাত্রায় অভিষেকের পাখির চোখ কোন কোন জেলা?
advertisement
বৈঠক শেষেসাংবাদিকদের মুখোমুুখি হয়ে নীতীশ কুমার বলেন, 'সব দলের একজোট হয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত৷ নিজেদের মধ্যে কথা বলা উচিত. যাতে দেশের ভাল হয়৷ যাঁদের হাতে এখন ক্ষমতা রয়েছে, তাদের দেশের ভালয় কিছু আসে যায় না৷ এখন দেশের উন্নয়ন কিছু হচ্ছে না৷ আজকে খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে৷ এর পরে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা অন্যান্য দলগুলির সঙ্গেও আলোচনায় বসব ৷'
অন্যদিকে মমতা বলেন, 'আমরা সবাই একসঙ্গে আছি৷ আমি নীতীশজিকে বলেছি সব বিরোধী দলকে নিয়ে বিহারে একটি বৈঠক ডাকতে৷ প্রচার, সভা সেসব তো পরে হবে, আগে একটা ঘরোয়া বৈঠক করে বার্তা দিতে হবে যে সবাই একসঙ্গে আছি৷ নীতীশজিকে আমি বলেছি, আমি চাই বিজেপি শুধু শূন্যে নেমে যাক, আর কিছু চাই না৷ এখানে ব্যক্তিগত কোনও ইগোর লড়াই নেই৷ দেশের মানুষ বিজেপি-র সঙ্গে লড়বে৷ সব দল একসঙ্গে লড়বে৷ শুধু মিথ্যে প্রচার, ভিডিও বানিয়ে হিরো হয়ে আছে৷'
আরও পড়ুন: হাত দেখিয়ে বললেন, 'খুলে ফেলেছি', অভিষেককে নিয়ে বিরাট মন্তব্য পার্থর! তুমুল শোরগোল
এর আগে বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করেছে মমতাও৷ সম্প্রতি নবীন পট্টনায়েক, অখিলেশ যাদবদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন৷ কিন্তু বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে দলগুলি বা তাদের শীর্ষ নেতাদের ইগো-ই যে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে, এ দিন নীতীশের সামনে তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী৷
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে নীতীশ- তেজস্বীর৷ কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, মমতা- নীতীশ যে উদ্যোগ নিলেন তার সঙ্গে অন্যান্যগুলি সহমত হয়ে বিরোধী জোট গঠনের প্রক্রিয়া এগোবে নাকি অতীতের মতোই ফের একবার বিরোধীদের ছন্নছাড়া অবস্থারই ফায়দা নেবে বিজেপি৷