আজ বহরমপুর জেলা কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থা হয়েছে। দুপুর ১ টায় নেতৃত্বকে যাওয়ার নির্দেশ। ভার্চুয়ালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুপুর ২'টোর সময় যোগ দেবেন বৈঠকে। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পরে, দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। দলের একাধিক নেতার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরপর তিনবার বিধানসভা ভোটে লড়াইয়ে জেতার পরেও, কেন এই হাল হল সাগরদিঘির তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে কী বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেন, তার দিকেই নজর সকলের।
advertisement
আরও পড়ুন: গ্রেফতার হয়ে কোর্টের মধ্যেই বেনজির কাণ্ড ঘটালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি! বিজেপি নেতাকে দেখে অবাক সকলে
গত শুক্রবার কালীঘাটের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই দলের দুই নেতার কাছে জানতে চেয়েছেন কেন এই ফল? এছাড়া সাগরদিঘির ভোটের আগে দুই নেতার বক্তব্য যে তার কানে এসেছে সেটাও তিনি জানিয়েছেন। এই অবস্থায় আজকের বৈঠক থেকে মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে কী বার্তা রাখেন সেদিকেই নজর সকলের।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা কে? ইডি-কে জানিয়ে দিলেন শান্তনু! তোলপাড়, এবার তবে কাকে ডাক?
প্রসঙ্গত, সাগরদিঘি উপনির্বাচনের হারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকেই দুষেছে মুখ্যমন্ত্রীর তৈরি কমিটি। সাগরদিঘির নির্বাচনে হারের কারণ খুঁজতে ৫ সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, কমিটি অনুসন্ধান করে দেখেছে হারের কারণ একাধিক। তবে, মূলত স্থানীয় নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব এবং রাজ্য সরকারের প্রকল্পের সঠিক প্রচার ও সুবিধা থেকে বঞ্চনার কারণে স্থানীয় মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে বলে মনে করেছে কমিটি। যদিও, কমিটির এই রিপোর্টকে 'মনগড়া রিপোর্ট' বলে মনে করছেন বিক্ষুব্ধ জেলা নেতৃত্বের একাংশ।
২ মার্চ সাগরদিঘির ফল প্রকাশের পর হারের কারণ পর্যালোচনা করতে ৫ সংখ্যালঘু মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, সাবিনা ইয়াসমিন, গোলাম রব্বানি, জাভেদ খানদের নিয়ে গড়া কমিটি কয়েক দফায় বৈঠকের পর সাগরদিঘির হারের কারণ নিয়ে তাদের রিপোর্ট চূড়ান্ত করেছে। সেই রিপোর্ট নিয়েও বেজায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী। এদিন বৈঠকে হারের কারণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি দলকে আরও সংগঠিত করার বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।