কোচবিহার লোকসভায় ফ্যাক্টর রাজবংশী ভোট। এর প্রভাব আছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ আসনেও। দুই লোকসভাই ২০১৯ সালে জিতে নেয় বিজেপি। ২০২১ সালে অবস্থার সাময়িক বদল হলেও। ২০২৪ সালে রায়গঞ্জে বিজেপি ছাড়াও তৃণমূল কংগ্রেসকে লড়তে হতে পারে কংগ্রেসের সাথে। ইতিমধ্যেই রায়গঞ্জ লোকসভা আসনে দীপা দাশমুন্সির নাম ভাসিয়ে রেখেছে কংগ্রেস শিবির।
আরও পড়ুন:মাধ্যমিক নিয়ে ফের ‘বড়’ আপডেট! এগিয়ে এল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের রিপোর্টিং টাইম, জানুন নতুন সময়
advertisement
দার্জিলিং লোকসভা আসন৷ টানা জয় পাচ্ছে বিজেপি। এবার বিজেপির অন্দরে এই লোকসভার প্রার্থী ঘিরে অন্তঃকলহ। ভূমিপুত্র প্রার্থী চাই বলে সরব হয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূল কংগ্রেস এই আসনে জোটবদ্ধ ভাবে লড়বে অনীত থাপার দলের সাথে। এই আসনেও প্রার্থী দিতে মরিয়া কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন পাহাড়ের দুই নেতা বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ড।
রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র এবার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিকে। নবজোয়ার যাত্রায় ইটাহারের ভিড়, তৃণমূল কংগ্রেসকে অনেক আশ্বস্ত করেছে। তবে রাজবংশী ফ্যাক্টরকে সামনে রেখে এখানে ঘুটি সাজাচ্ছে বিজেপি। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির আবেগ সামনে রেখে লড়াইয়ে দীপা দাশমুন্সিও।
লোকসভায় নজরে বালুরঘাট লোকসভা আসন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ২০২১ সালে ভালো ফল তৃণমূলের। সুকান্ত মজুমদার বিজেপির রাজ্য সভাপতি এখানের সাংসদ। যদিও পুরভোটে নিজের ওয়ার্ড হেরেছেন বলে তীব্র কটাক্ষ বাংলার শাসকদলের।
মালদহ জেলা, সংখ্যালঘু ভোট এখানে ফ্যাক্টর। গণিখান চৌধুরীর মৃত্যুর পরেও এখানে সংখ্যালঘু ভোট আনুগত্য দেখিয়েছে কংগ্রেসের প্রতি। ২০১৯ সালে এই জেলায় মালদহ উত্তর আসন জিতে নেয় বিজেপি৷ মালদহ দক্ষিণ আসন জিতে নেয় কংগ্রেস। তবে, আমূল বদল ঘটে ২০২১ সালের ফলে।
মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রচারে গিয়ে বলেছিলেন, ” আমার এবার আম ও চাই, আমসত্ত্ব চাই।”সেই ফল পায় তৃণমূল কংগ্রেস।সূত্রের খবর, এই জেলায় এক আসন কংগ্রেসকে ছাড়তে প্রস্তুত ছিল তৃণমূল কংগ্রেস।যদিও সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে জোট হবে না ধরে নিয়েই ময়দানে নেমে পড়েছে জোড়াফুল শিবির।