এ দিনে সাক্ষাৎকারে মমতা বলেন, ‘‘এমনিতে ভালই আছি৷ সে দিন আর তিরিশ সেকেন্ড যদি সময় নিত, তা হলে হেলিকপ্টার ক্র্যাশ হয়ে যেত৷’’ এমনই এক পরিস্থিতিতে সেদিন পড়েছিল হেলিকপ্টার৷ প্রবল ঝড়বৃষ্টির মধ্যে দিগভ্রষ্ট হয়ে কার্যত ক্র্যাশ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বললেন, সে দিন চালকের তৎপরতায় মারণ এক দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল কপ্টার৷
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইংরেজি মাধ্যমের পড়ুয়া না হলে ভর্তিতে না, লরেটোর কৈফিয়ত তলব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের
আরও পড়ুনঃ পড়ুয়া চাইলে মুছে দিতে হবে নির্দিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ, প্রেসিডেন্সিতে জারি ফতোয়া উঠে গেল
এয়ার বেসে হেলিকপ্টার নামার পর সেখান থেকে লাফিয়ে নামতে গিয়েই চোট পেয়েছিলেন মমতা৷ সেই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘অতদূর থেকে লাফ দিতে গিয়ে, মানে না লাফিয়ে উপায় ছিল না৷ তখন ঝড়-ঝঞ্ঝায় পরিস্থিতি এমন ছিল না৷ সেদিন লাফ দিতে গিয়ে, হাঁটুতে চোট পেয়েছি৷ ডাক্তাররা বিভিন্ন পরীক্ষা করে বলছেন, হাঁটুটা আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে. কোমরেও লেগেছে৷ ওরা আমাকে বলেছিল হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করাতে৷ কিন্তু আমি ভাবলাম, হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা করালে একটা বেড অকুপ্যাই হবে, কয়েকজন চিকিৎসকে ব্যস্ত রাখতে হবে৷ তাই ভাবলাম, ঘরে বসে কাজগুলো করেনি৷ তার মানে সাত-আটদিন ট্রিটমেন্ট করিয়ে নেব ভাবলাম, তারপর হাসপাতালে যাব৷ এখন দিনে ৪ ঘণ্টা থেরাপি চলছে৷ থেরাপি চললে মনের উপর একটা ঝড় যায়৷ এখন সোজা হাঁটতে পারছি একটু-একটু৷ তবু হাঁটু আর কোমরে লাগছে৷’’
সেদিন কেমন ছিল পরিস্থিতি, ‘সেদিন কোনও ফায়ার ব্রিগেড ছিল না, কিছুই ছিল না৷ চালকের বুদ্ধিতে আমরা বেঁচে গিয়েছি৷ আমাদের দেড় ঘণ্টা বসতে হয়েছিল৷ চা ওরা অফার করেছিল, সেই কারণেই আমরা চা খেয়েছিলাম৷ চালক বুদ্ধি করে ম্যাপে দেখেছিলেন, সামনে একটা এয়ারবেস আছে৷ সেটা দেখে উনি নামিয়েছিলেন কপ্টার৷ আমি শুনেছি, তিন মিনিট এটিসির সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না৷ মাত্র তিরিশ সেকেন্ড এদিক-ওদিক হলেই কপ্টার ক্র্যাশ করে যেত৷’