এদিন বিধানসভায় বক্ৃতা করা কালীন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডেঙ্গি আবার ট্রেন্ড। গতবার কম হয়েছিল। কোনও বছর কম বা বেশি হয়। আমরা জোর দিয়েছি। কিন্তু পঞ্চায়েতে এখনও বোর্ড গঠন হয়নি। তারা কাজ করতে পারছে না। ফলে সমস্যা হচ্ছে। নিজের নিজের এলাকায় নজর রাখুন।’’
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৪ হাজার ৪০১ জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে৷ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত নদিয়ার মানুষ৷ তারপর উত্তর ২৪ পরগণা এবং হুগলি।
advertisement
সরকারের তরফে এখনও মৃতের সংখ্যার বিষয়ে স্পষ্ট কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৮৯৭ জন। সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হিসাবে চিহ্নিত হয়েছেন ২৪০০ জন। বাকিরা ভর্তি হয়েছেন বেসরকারি হাসপাতালে। এছাড়া, সরকারের তরফে ক্রমাগত পরিস্থিতির উপরে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র গত সপ্তাহেই ২৩ হাজার ৮৩২টি টেস্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন মমতা৷
আরও পড়ুন: পিস রুমের পরে ‘আমনে-সামনে’! রাজভবনে চালু নতুন প্রকল্প, এবার কী পরিকল্পনা রাজ্যপালের!
মশাবাহিত রোগ রোধে এদিন সল্টলেক নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করেছেন মমতা৷ বলেন, ‘‘মেট্রোর কাজের জন্য সল্টলেকে বেশি হচ্ছে। জল যেন জমে না থাকে। এটা নজর রাখুন। গাপ্পি মাছ ছাড়া হচ্ছে। পুরসভা ও কর্পোরেশনকে বলব দেখতে। ভাষা খবর আটজন মারা গেছে। এটা যদিও কনফার্ম নয়। টাকার দিকে না তাকিয়ে রোগী আসলে ব্যবস্থা নিন। কোভিড মোকাবিলার মতো ব্যবস্থা নেব।’’
মমতা জানান, ডেঙ্গি রোধে উত্তরবঙ্গেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বেশি। সরকারের তরফে বিতরণ করা হয়েছে এক লাখ মশারি। পাশাপাশিস ডেঙ্গি পরিষেবা দেওয়া নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও সতর্ক করেছেন মমতা৷ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘‘স্বাস্থ্যসাথী না নিলে লাইসেন্স বাতিল করব।’’