মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, কাশফুল থেকে বালিশ-বালাপোশের চাহিদা আছে ভালই। এখানে যদি উদ্যোগ নিয়ে সেই কাজ করা যায়, তাহলে কাশফুল থেকে নতুন শিল্প তৈরি হতে পারে। এছাড়া উলুবেড়িয়ায় শাটল কক ক্লাস্টার রয়েছে। তার আরও উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল হিসেবে হাঁসের পালক সকলের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গত দু’বছরে হাওড়ায় ২০ কোটি ৪৮০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ১ লক্ষ ১৬ হাজার কর্মসংস্থান হয়েছে। আরও ১০,৪৮০ কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে, ১ লক্ষ ৫৬ হাজার কাজের সুযোগ তৈরি হবে। নতুন ফিশিং হাব, কাশফুল দিয়ে নতুন শিল্প স্থাপন হতে পারে।” উলুবেড়িয়া শাটল কক তৈরির জন্য বিখ্যাত। এক্ষেত্রে মূল উপকরণ হাঁসের পালক। আর তা চিন কিংবা দেশের অন্য কোনও জায়গা থেকে আমদানি করতে হয়। আর এ বিষয়েই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ, ''তোমরা তো এখন হাঁসের পোল্ট্রি করছ। এখন তো গ্রামেগঞ্জে হাঁস আছে। সেল্ফ হেল্প গ্রুপকে হাঁসের পালকটা সংগ্রহ করতে বলো। এবার দুয়ারে হাঁসের পালক!''
advertisement
আরও পড়ুন: এত বড় নেতা কারা দেখি? হাওড়ায় রুদ্রমূর্তি মমতা! যে প্রসঙ্গে এত রুষ্ট মুখ্যমন্ত্রী...
আরও পড়ুন: 'দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী...', আরও বড় 'বিস্ফোরণের' ইঙ্গিত দিলেন তথাগত রায়!
হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে নেতা-মন্ত্রী, প্রশাসনিক অফিসারদের সামনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে জানিয়ে দেনস, ''আমার নিশানা শিল্প''। আর যে প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে, তা রীতিমতো আলোড়ন ফেলেছে রাজ্যর রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার হাওড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সামনেই অভিযোগ আসে, শিল্পের জন্য জমি পেতে দেরি হচ্ছে সেই জেলায়। আর সেই প্রসঙ্গেই ভূমি সংস্কার দফতরের সচিবের উদ্দেশ্য মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''অনেকেই আছে, যারা ইচ্ছা করে দেরি করাচ্ছে।'' তবে, এখানেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। এই দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়ে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''আগে তো ইউনাইটেড ক্লিয়ারেন্স সিস্টেম ছিল। কিন্তু সেটা এখন বন্ধ হয়ে আছে কেন? কার নির্দেশে এটা বন্ধ করা হয়েছে? কারা এত বড় বড় নেতা দেখি তো? দু’বছর হয়ে গেছে, তবু কাজে দেরি করছে। তা হলে শিল্প হবে কী করে?''