মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এখন আমাদের এখানে বসে আছেন একজন মাননীয় রাজ্যপাল। তিনি বলছেন, আমি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় দেখব। আমি বলেছি আইন মেনে চলুন। আমার আপত্তি নেই। ওনার বাড়িতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোন নম্বর লাগানো আছে। আমি অনেকবার বলেছি এটা করবেন না। টাকা দেব আমরা, পলিসি করব আমরা, আর আপনি খবরদারি করবেন। কখনও আপনার শুনেছেন, মধ্যরাতে ১৬ জনকে টপকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বদলে গেছে।”
advertisement
তিনি বলেন, “হঠাৎ শুনলাম কেরলের এক আইপিএসকে ভিসি করে দিয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। রবীন্দ্রভারতীর ভিসি পদে নিয়ে আসা হয়েছে প্রাক্তন বিচারপতিকে। তাঁকে আমি চিনি। উনি আমার সঙ্গে পড়াশুনা করেছেন। আমি তাঁর বিরুদ্ধে বলছি না। কিন্তু তিনি তো কখনও শিক্ষকতা করেননি, তিনি আইনের কাজ করেছেন। তিনি চাইলে আইনের কাজে যেতে পারতেন। তার মানে কি? সিস্টেম ভেঙে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চলছে। যদি রাজ্যপাল মনে করেন, তিনি সব করবেন, তাহলে নির্বাচিত সরকারের কোনও দরকার নেই।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনি যদি নিজেকে বড় ভাবেন, তাহলে মনে রাখবেন সমস্ত কাজে পলিসি ঠিক করেন রাজ্য সরকার। কোনও কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় যদি আপনার কথা শুনে চলে, তাহলে আমি কিন্তু অর্থনৈতিক বাধা তৈরি করব। এখানে টিট ফর টেট। দেখব আপনি কীভাবে মাইনে দিয়ে থাকেন। যাদবপুরে মধ্যরাতে বিজেপির একটা প্রেসিডেন্টা না কে যেন, তাকে ভিসি করে দিল। আমি তো এটা ভাবতেও পারিনি। কারণ শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও হস্তক্ষেপ করিনা।”
আরও পড়ুন, ODI WORLD CUP 2023: আজ বিশ্বকাপের ১৫ জনের ভারতীয় দল ঘোষণা, নজরে একাধিক বিষয়
আরও পড়ুন, ‘দিদি বলেছেন অপরাধীদের শাস্তি হবেই!’ নবান্নে বললেন যাদবপুরের মৃত ছাত্রের বাবা-মা
মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি, “উনি একটাও ফিল ফেরত পাঠান না। সবকটা বিল আটকে রেখে দেন। আমি বাধ্য হব রাজভবনের সামন ধরনা দিতে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে হবে না। পড়ুয়ারা কোনও সার্টিফিকেট পাচ্ছে না। যে কিছু জানে না, তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে। যে রান্না করতে পারেন না, তাঁকে বিরিায়ানি বানাতে বসিয়ে দিয়েছে।”