এদিন মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটারে লেখেন, "সোমেন মিত্রর মৃত্যুর খবরে আমি শোকস্তব্ধ। বর্ষীয়াণ নেতা, কংগ্রেসের সাংসদ-প্রেসিডেন্ট সোমেন মিত্রের পরিবার পরিজনের প্রতি আমার সমবেদনা রইল।"
রাজনৈতিক মহলে চালু নাম ছোড়দা। অনেকেই বলেন গনিখান চৌধুরীর ভাবশিষ্য। সোমেন মিত্র কংগ্রেসে পা রাখেন উত্তাল সত্তরে। বিধানসভায় তাঁর নিয়মিত উপস্থিতি ছিল তিন দশকেরও বেশি সময়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্পর্কটাও ছিল অম্লমধুর। একসময়ের যুবনেত্রী মমতা দল ছাড়তেই ধস নামা শুরু হলে নয়ের দশকে নিজে থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেন সোমেন মিত্র। আবার সেই মমতারই দল তৃণমূলেও তাঁকে দেখা যায় ২০০৭-২০০৮ সালে। যদিও সরে আসেন ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে।
দিন কয়েক আগে ক্রিয়েটিনিনের সমস্যা নিয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হন সোমেন মিত্র। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকরা। সে সময়ে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী।
দূরত্ব ছিল, আবার কাছে আসাও ছিল। তবে যাবতীয় মলিনতা ধুয়ে দিল মৃত্যু ৷ সেদিনের দামাল মেয়ে মমতা আজ বর্ষীয়ান নেতার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপনে শামিল হলেন।