এ দিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলাদেশের পরিস্থিতির কথা তোলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত বলে স্বীকার করলেও বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যে রাজ্য সরকার উদ্বিগ্ন, তা জানান মুখ্যমন্ত্রী৷
আরও পড়ুন: সাতসকালে বড় বিপত্তি, বর্ধমান স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ল বন্দে ভারত! থমকে গেল রাজধানীর চাকাও
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের অনেক বন্ধুর আত্মীয়, স্বজন সেখানে আছে। সীমান্ত বিএসএফ পাহারা দেয়। গত ১০ দিন ধরে দেখছি, কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে আছে। তাদের দল এখানে রোজ মিছিল করছে। বলছে সীমান্ত আটকে দেবে, খাবার দেব না। এটা আমাদের এক্তিয়ারভুক্ত নয়। এ সব নিয়ে কেন্দ্র গাইডলাইন দেয়। ধর্ম, বর্ণ, জাতি যেখানেই আক্রান্ত হোক, আমরা নিন্দা করি। আমরা শুধু চাই শান্তি ফিরুক৷’
advertisement
এর পরেই বাংলাদেশ ইস্যুতে কেন্দ্রের উপরে চাপ বাড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের ওপর যেন অত্যাচার না হয়। প্রধানমন্ত্রী কথা বলুক। বিদেশ মন্ত্রী কথা বলুক। দুই দেশ কথা বলুক। নাহলে কেন্দ্র ভারতীয়দের ফেরাক। আমরা খাবার জোগাতে পারব। জাতীয় পতাকা অপমান করা উচিত নয়। আমি ইস্কনের সাথে কথা বলেছি। প্রয়োজনে রাষ্ট্রপুঞ্জের শান্তি সেনা পাঠাক। আমরা শান্তি চাই। বাংলা ভাষায় কথা বললে অনেক সময় অনুপ্রবেশকারী বলে অত্যাচার করা হয়।’
চিন্ময়কৃষ্ণ দাস নামে এক সন্ন্যাসীকে গ্রেফতারের পরই নতুন করে অশান্তি ছড়িয়েছে বাংলাদেশে৷ তার পর থেকেই সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাগুলিতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনও৷