এ দিন তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর দাবি, 'এখানে আসতে আসতেই শুনলাম, আরও সাত আটজন বিজেপি বিধায়ক আমাদের দলে আসতে চান৷ তাঁরা উন্নয়নে সামিল হতে চান৷ তাঁদের সবাইকে স্বাগত৷'
আরও পড়ুন: তৃণমূলের চেয়ারপার্সন পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনর্নির্বাচিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
advertisement
প্রসঙ্গত, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই বিজেপি ছেড়ে একের পর এক বিধায়ক এবং নেতা তৃণমূলের ফিরতে শুরু করেন৷ এঁদের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য নাম ছিল মুকুল রায়৷ এ ছাড়াও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্তের মতো শাসক দল ছেড়ে বিজেপি-তে যাওয়া নেতারাও তৃণমূলে ফিরে এসেছেন৷ শিবির বদল করেছেন মুকুল রায় সহ মোট পাঁচজন বিধায়ক৷ সেই তালিকায় রয়েছেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস, বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় এবং রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী৷
আরও পড়ুন: তৃণমূলের ভোট দেখতে বাম- কংগ্রেস নেতাদের আমন্ত্রণ, ব্রাত্য বিজেপি
বিধায়কদের ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগ করার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে আবেদন করেছেন৷ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজ হবে কি না, তা নিয়ে খুব শিগগিরই রায় দেবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ৷ বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেও মামলা চলছে৷
বিজেপি শিবিরের আশা ছিল, দলত্যাগী বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলে হয়তো বাকিদের ধরে রাখা যাবে৷ কিন্তু এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পর স্পষ্ট, বিজেপি-র অন্দরে ভাঙন অব্যাহত৷