আরও পড়ুন : উপনির্বাচন পিছিয়ে দিলে আপত্তি নেই বিজেপির, বাজেট নিয়ে 'উত্তরবঙ্গ' খোঁচা সুকান্তর
চার রাজ্যের ভোটে বিজেপি(BJP) সরকার গঠন করলেও সারা দেশে মোট বিজেপি বিধায়কদের অঙ্কে যে বিজেপি খুব একটা স্বস্তিজনক জায়গায় নেই তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দেন সাংসদ ও বিধায়করা। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মোট ভোটের মূল্য ১০ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯০৩। এর মধ্যে বিজয়ী হতে গেলে প্রয়োজন ৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৫২ ভোট। লোকসভায় সাংসদদের সংখ্যার নিরিখে এগিয়ে আছে বিজেপি৷
advertisement
৩১ মার্চ রয়েছে ৬ রাজ্যের ১৩টি রাজ্যসভা আসনের ভোট। এই ফাঁকা আসনগুলি যে রাজ্যগুলি থেকে সেখানে বিভিন্ন রাজ্যগুলির যে রাজনৈতিক সমীকরণ তাতে বিজেপি সুবিধাজনক জায়গায় থাকবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সংসদ এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির আইনসভার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে যে নির্বাচকমণ্ডলী আছে তাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করা হয়। এখানে ভোটারের ভোটের অঙ্ক স্থির করা হয় ১৯৭১ সালে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির জনসংখ্যার ভিত্তিতে তৈরি ফর্মুলা অনুযায়ী।
আরও পড়ুন : উপনির্বাচনের জন্য উচ্চ মাধ্যমিকের সূচিতে বদল, সম্ভবত আগামিকালই ঘোষণা
এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee President Election) বুঝিয়ে দিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের অঙ্কেও খেলা হবে। তিনি বিধানসভায় জানিয়েছেন, "দেশের মোট বিধায়কদের মধ্যে অর্ধেকও নেই বিজেপির। তাই তাদের বড় বড় কথা বলা উচিত নয়। কারণ সমাজবাদী পার্টির মতো দল ভোটে হারলেও নির্বাচক মন্ডলীর দিক থেকে আগের বারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী রয়েছে। এবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (President Election) বিজেপির কাছে খুব একটা সহজ হবে না। দেশের যত বিধায়ক রয়েছেন, তাঁদের অর্ধেকও বিজেপির নয়। সারা দেশজুড়ে বিরোধীদের অনেক বেশি বিধায়ক রয়েছেন।" উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের উদাহরণ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দিয়েছেন ৭৮ আসন বেড়েছে সমাজবাদী পার্টির। ৫৪ আসন কমেছে বিজেপির। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে বিরোধী শিবির ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রার্থী দিলে লড়াই হবে। সেটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।