কিন্তু নির্মল যখন মঞ্চে তখন নীচে হাজির তাঁর 'ভাইঝি'। পূজা চক্রবর্তী নামে ওই তরুণীর পরিচয়, তিনি পানিহাটি পুরসভার কাউন্সিলরও। মমতার সামনেই মঞ্চের নীচ থেকে দলনেত্রীর সঙ্গে জ্যেঠু অর্থাৎ নির্মল ঘোষের ছবি তোলার অনুরোধ করেন পূজা৷ কিন্তু দলনেত্রী কী বলবেন, তা ভেবে প্রথমে বিষয়টিতে রাজি হননি পানিহাটির প্রবীণ বিধায়ক৷ কিন্তু মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলেও পূজা নাছোড়৷ মঞ্চের নীচ থেকেই নির্মলবাবুকে রীতিমতো ধমক দেন তিনি৷ জ্যেঠু- ভাইঝির এই কথোপকথন ততক্ষণে চোখে পড়ে গিয়েছে মমতারও৷ আর তা দেখে হেসেই ফেলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
advertisement
আরও পড়ুন: অস্ত্র রাহুলের শাস্তি, শুভেন্দুকে প্যাঁচ ফেলতে বড় নির্দেশ দিলেন অভিষেক
ব্যস, এর পরে পূজার ইচ্ছেপূরণে সমস্যা হয়নি৷ পূজার আবদার মেনে পানিহাটির বিধায়কের সঙ্গে ছবি তোলেন মমতা৷ মঞ্চের নীচ থেকে পূজাই সেই ছবি মোবাইল বন্দি করেন৷ বাড়তি পাওনা হিসেবে কয়েক মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে নেন তিনি৷
ছবি পর্বের পর পূজার মুখে তখন যুদ্ধ জয়ের হাসি৷ তৃণমূল কাউন্সলির জানালেন, জ্যেঠু বলে ডাকলেও আসলে নির্মলবাবুর সঙ্গে তাঁর রক্তের সম্পর্ক নয়৷ ক্লাস ইলেভেনে পড়ার সময় নির্মল বাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় পূজার৷ এর পরেই ধীরে ধীরে রাজনীতিতে আগ্রহ বাড়ে তাঁর৷ তখন থেকেই নির্মলবাবুকে জ্যেঠু বলে সম্বোধন করতেন তিনি৷ সেই ভালবাসার টানেই পানিহাটির বিধায়কের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি ক্যামেরা বন্দি করতে চেয়েছিলেন পূজা৷
