সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘মিটিংটা আমি ডাকেনি, সব ইমামরা ডেকেছেন। আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তাই আমি এসেছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার যেমন অধিকার নেই ব্যাক্তিগত সম্পত্তির উপর অধিকার করা, তেমনি আপনারও অধিকার নেই কারোর ব্যাক্তিগত সম্পত্তির উপর অধিকার নেওয়া। আমাদের সাংসদের কোর্টে কেস-ও করেছে। ’’
এরপরই বিরোধী বিজেপি’কে সরাসরি আক্রমণ করেন মমতা৷ সবাইকে অনুরোধ জানান, ‘‘আপনারা ফেক নিউস তৈরি করছেন…বাংলায় বিজেপি-এর কথায় কেউ উত্তেজিত হয়ে কেউ অশান্তি করবেন না।’’
advertisement
এমনকি, অমিত শাহকেও এদিন আক্রমণ করতে দেখা তাঁকে, ‘‘আমি ওঁর (অমিত শাহ) নাম আগে নিইনি। এত তাড়াতাড়ি কেন আছে? আপনাকে তো প্রাইম মিনিস্টার করবে না। মোদি জি চলে গেলে কী হবে? সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছেন আপনি। মোদি জি কে বলবো ওনাকে কন্ট্রোল করুন। ’’
ওয়াকফ সংশোধনী আইন কার্যকর হওয়ার পর থেকে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে অসন্তোষের ঢেউ। বিশেষত, সংখ্যালঘু সমাজের একাংশের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। আইনটির প্রতিবাদে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে বিক্ষোভ। যার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার বেশ কিছু এলাকা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়েছে যে, মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষে প্রাণহানিও ঘটেছে। যদিও এই বৈঠকের পরিকল্পনা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার আগেই করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই সম্মেলন আরও ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ হয়ে উঠেছে।
গত কয়েকদিন ধরেই ওয়াকফ ইস্যুতে সরগরম গোটা রাজ্য। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। জাতীয় সড়ক ও রেল পথ অবরোধ করা হয়েছে। বাস, বাইক, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে বিজেপি এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।