বুধবার রাতে জলপাইগুড়ির মাল নদীতে দুর্গা পুজোর বিসর্জন দিতে ভিড় করেছিলেন বহু মানুষ৷ রাত সাড়ে আটটা নাগাদ আচমকা নদীতে হড়পা বান আসে৷ মুহূর্তের মধ্যে নদী ছেড়ে নিরাপদ স্থানে উঠে আসার চেষ্টা করেন অনেকে। কিন্তু ২৫ জনের বেশি মানুষকে জলে টেনে নিয়ে যায়। বিসর্জন দিতে গিয়ে মাল নদীতে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় বুধবার রাতেই শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ মৃতদের পরিবারের উদ্দেশে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়িতে বিসর্জনের দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানি, শোকপ্রকাশ মোদি-শুভেন্দুর
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্যুইট করেন বৃহস্পতিবার সকালে। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে তিনি লেখেন, 'দুর্গা বিসর্জন চলাকালীন জলপাইগুড়ির মাল নদীতে একটি মর্মান্তিক আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ৮ জন। প্রার্থনা করি, তাঁদের পরিবার যেন এই কঠিন সময়ে শক্তি পায়। ১৩ জন আপাতত মাল এসএসএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, আমি তাঁদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য প্রার্থনা করছি। এনডিআরএফ এবং এসডিআরএফ-এর উদ্ধারকাজ এখনও চলছে। পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স স্বেচ্ছাসেবক এবং স্থানীয় যুবকদের প্রচেষ্টায় প্রায় ৭০ জনকউদ্ধার করা গিয়েছে। আমি তাঁদের নিঃস্বার্থ সেবার প্রশংসা জানাচ্ছি। আপাতত আর কেউ নিখোঁজ আছে বলে জানা যায়নি।'
মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট থেকে জানা যায়, বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর খোলা হয়েছে। যে কোনও সাহায্যের জন্য সেখানে যোগাযোগ করতে পারেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে আহতদের।
আরও পড়ুন: জলপাইগুড়ি বিপর্যয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮, এখনও নিখোঁজ অনেকে! বৃষ্টিতে ব্যাহত উদ্ধারকাজ
বুধবার রাতের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী৷ পৌঁছন পুলিশ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারাও৷ রাত পর্যন্ত নদী থেকে আটটি মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু৷ নিহতদের মধ্যে চারজন মহিলাও রয়েছেন৷
রাতেই মাল হাসপাতালে ভাঙচুরও চালান ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা৷ পরে বিরাট পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷ রাজ্যের বিরোধিতা দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করে ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন৷ পাশাপাশি দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য প্রশাসনকে অনুরোধও করেছেন তিনি৷