দীর্ঘ ১৫ বছর পর কেন প্রয়োজন হল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বই আকারে প্রকাশ করার? রাজনৈতিক মহলের মতে, গত ১৫ বছরে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ একাধিক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যা বিভিন্ন স্তরে স্বীকৃতিও পেয়েছে। বিভিন্ন সময় বিধানসভায় ভাষণে এই সব কথা তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেসবই এবার লিপিবদ্ধ হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা তৃণমূলকে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ড দেবে বলেই মনে করছে অনেকে।
advertisement
২০১১-২০২৫, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিধানসভায় নানা ইস্যুতে বক্তব্য রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সেই বক্তব্য বই আকারে প্রকাশ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিধানসভার লাইব্রেরি কমিটি। বইয়ের খসড়াও ইতিমধ্যেই তৈরি। দ্রুত সেই খসড়া দেখানো হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি সবটা দেখে সিলমোহর দিলেই বই প্রকাশিত হবে।
আগামী বছরই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ফের শুরু হবে বাংলার মসনদ দখলের লড়াই। কেউ মসনদ ধরে রাখতে ময়দানে নামবে, কারও আবার লক্ষ্য হবে তা দখল করা। ইতিমধ্যেই ছাব্বিশে সরকার গড়ার হুঙ্কার দিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে এসে ঘুরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় মমতার বক্তব্য নিয়ে বই প্রকাশের সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। লাইব্রেরি কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “বিধানসভায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী সামাজিক, রাজনৈতিক-সহ নানা কথা যা বলেছেন তাকেই এক মলাটে আনা হচ্ছে।”