এদিন নবান্ন সভাঘরে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক হওয়ার সময় কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের প্রতিনিধিকে মুখ্যমন্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন, "৩০ তারিখ তো প্রধানমন্ত্রী আসছেন। গার্ডেনরিচে প্রোগ্রাম করছেন?" তারপরে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হয়, কবি সুভাষ ডক-এ ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা বিধি না মানলে বন্ধ ভারত জোড়ো যাত্রা! রাহুল গান্ধিকে চিঠি স্বাস্থ্য় মন্ত্রী মাণ্ডব্য়র
advertisement
এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁকেও ফোন করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে তিনিও উপস্থিত থাকবেন। এমনকি, সেই বার্তা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সময়সূচি অদল বদল না হলে আগামী ৩০ ডিসেম্বরই হতে চলেছে 'ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল' বা জাতীয় গঙ্গা পরিষদের বৈঠক। সেই অনুষ্ঠানে কলকাতায় আসতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রসঙ্গত, মোদি নিজেই গঙ্গা পরিষদের সভাপতি। পরিষদের সদস্য তথা এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ওই বৈঠকে থাকার কথা মমতারও। আজ, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়ে দিলেন, ওই অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রিত এবং তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বকেয়া আদায় করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করতে দেখা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, তারপর থেকেই ১০০ দিনের প্রকল্প ছাড়া বাকি সব প্রকল্পের বরাদ্দ টাকাই ছাড়তে শুরু করে কেন্দ্র। জি ২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন মমতা। তবে, সেইসময় আলাদা করে কোনও বৈঠক করেননি মোদি-মমতা।
সম্প্রতি পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক শেষে নবান্নের ১৪ তলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিসে তাঁর সঙ্গে বিশেষ বৈঠক সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল, বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে।
এবারের বৈঠকেও মোদি-মমতার একান্ত বৈঠকের সম্ভাবনা আছে কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি। তবে মোদি-মমতাকে যে একমঞ্চে একসঙ্গে দেখা যেতে চলেছে, তা এদিন একপ্রকার নিশ্চিত করে দিলেন মমতা বন্দোপাধ্য়ায়।
