সেখানেই যোগ দিলেন সাহিল । তাঁর বাড়ি মালদহ ইংরেজবাজার এলাকায় । বাবা-মা-দিদিকে নিয়ে চার জনের টানাটানির সংসার ৷ দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে ৷ সাহিলের বাবা এক বেসরকারি সংস্থায় মেকানিকের কাজ করেন ৷ সাহিল মালদহ কলেজের ছাত্র ছিলেন । এডুকেশন বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে, আপাতত সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাঠ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন । কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতেন । সাহিল চাইছেন, মূল্যবৃদ্ধির মতো ইস্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে । আর সেই কারণেই পায়ে হেঁটে কলকাতা আসার সিদ্ধান্ত ।
advertisement
আরও পড়ুন : ছাত্র সমাবেশের মঞ্চ থেকে কী বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? রাজনৈতিক মহলের নজর সেদিকেই
সাহিলের কথায়, ‘‘ট্রেনে-বাসে চেপে আসাই যেত । কিন্তু পেট্রোল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের দাম যে ভাবে প্রতিদিন বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়ছে । আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে বলতে পারি অত্যন্ত অসুবিধার মধ্যে দিয়ে চলতে হচ্ছে । বিভিন্ন সময় নানা কথা কেন্দ্রীয় সরকার বললেও এই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বা চাইছে না । তাই আমি প্রতিবাদ জানাতে এই রাস্তা বেছে নিয়েছি। আমি রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় যে সব এলাকা দিয়ে এসেছি সেখানকার মানুষ আমার কথা শুনতে পেয়েছেন । আমি চাই আমার প্রতিবাদে সকলে শামিল হোন । তাই এই হেঁটে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ।''
আরও পড়ুন : স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি, ছাত্র সমাবেশে লক্ষাধিক জমায়েতের টার্গেট তৃণমূলের
রাস্তায় একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কথাও হয়েছে । আগামী দিনে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যেতে চান তিনি । আবহাওয়া অবশ্য একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল মাঝে মধ্যেই । তবে নিজের লক্ষ্যে তিনি অবিচল । তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সাধুবাদ জানিয়েছেন সাহিলের এই প্রতিবাদের রাস্তাকে । অন্যদিকে কোচবিহার থেকে সাইকেল চালিয়ে কলকাতা এলেন বেশ কয়েকজন ছাত্র। তাঁরাও যোগ দিয়েছেন এই সমাবেশে ।