গত কয়েকদিন ধরেই সায়ন্তিকার খবর প্রকাশ্যে আসে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আমসত্ত্ব নিয়ে একরত্তি মালদহ থেকে কলকাতা আসছে সাইকেল চালিয়ে, এই খবরেই অনেকে চমকে উঠেছিলেন। বাস্তবে হলও তাই। বৃহস্পতিবার সকালে কালিঘাটে পৌঁছে গেল সায়ন্তিকা। সঙ্গে আমসত্ত্ব। ছোট্ট সায়ন্তিকাকে কাছে পেয়ে বেজায় খুশি হন মুখ্যমন্ত্রীও। পাল্টা সায়ন্তিকার হাতে তুলে দেন উপহার।
আরও পড়ুন: ফের সিবিআই-এর নতুন ডাক, এবার নিজাম প্যালেসে যাবেন তৃণমূল বিধায়ক! কে তিনি?
advertisement
মালদহ জেলার ইংরেজবাজার(English Bazaar) পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের মনস্কামনা পল্লীর বাড়ি থেকে কলকাতার(Kolkata) কালিঘাটের পথে রওনা দিয়েছিলেন সায়ন্তিকা। তবে একা অবশ্যই নয়। সঙ্গে ছিলেন বাবা প্রদীপ দাস ও মা উমা দাস। তাঁরা আসেন বাইকে, মেয়ের পিছু পিছু। দুইজনই অবশ্য মেয়ের এহেন কীর্তিতে রীতিমত গর্বিত।
আরও পড়ুন: এসে পৌঁছেছে 'সেই সব' নথি, অনুব্রতকে নিয়ে ছক সাজাচ্ছে সিবিআই! শুক্রে যা হতে চলেছে...
প্রসঙ্গত, মালদহে গিয়ে আমসত্ত্ব খেতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই জেলার প্রসিদ্ধ আমসত্ত্ব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিতে সায়ন্তিকা জেদ ধরেছিল। সেই সঙ্গে দুই দিদির পড়াশোনার জন্যও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিতে চেয়েছিল সায়ন্তিকা। এই বিষয়ে সায়ন্তিকার মা উমা দাসের বক্তব্য, ‘আমার নিজের পড়াশোনা করার খুব ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বাপের বাড়ির অবস্থা ভালো না থাকায় পড়াশোনা বেশিদূর টানতে পারেনি। বিয়েও হয়ে গিয়েছিল তাড়াতাড়ি। আমার স্বামী পেশায় গাড়িচালক। সংসারে অনটন আছে। দুই মেয়ের পড়াশোনাও হয়ত বন্ধ হয়ে যেত মুখ্যমন্ত্রীর কন্যাশ্রী প্রকল্প না থাকলে। সায়ন্তিকা ছোটবেলায় সেই সমস্যাটা দেখেছে। ছোট হলেও ও বুঝেছে ব্যাপারটা। ও মমতাদিকে খুব ভালবাসে। ও টিভিতে দেখেছিল মমতাদি মালদহে এসে আমসত্ত্ব খেতে চেয়েছিলেন। তারপরেই জেদ ধরে ও সাইকেল চালিয়ে মমতাদিকে আমসত্ত্ব খাইয়ে আসবে। আমরা তাতে বাধা দিতে চাই না।’ সেই আমসত্ত্ব নিয়ে অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এল সায়ন্তিকা।
