কখনও ঘাসফুল, কখনও হাত, কখনও আবার ঘড়ি প্রতীকে। প্রতীক বদলালেও, প্রার্থী হিসেবে মালার গ্রহণযোগ্যতা কখনই কমেনি। তাই ১৯৯৫ থেকে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ডে অপরাজিত মালা রায়। চেতলা থেকে চারু মার্কেট। রাসবিহারী মোড় থেকে প্রতাপাদিত্য রোড। ঝুপড়ি থেকে বহুতল। টানা ২৫ বছর কাউন্সিলর হওয়ার সুবাদে, সবটাই চেনা মালা রায়ের।
প্রচার বেরিয়েই মালা রায় বলেছিলেন, 'আমার সঙ্গে এখানকার মানুষদের আত্মিক সম্পর্ক। উন্নয়ন নিয়ে মানুষের বক্তব্য শুনি। জানার চেষ্টা করি। সেই মতো কাজ করি।'' আর এদিন জয়ের পর তিনি বলছেন, ''এটা কর্মীদের জয়। তাঁদের অক্লান্ত চেষ্টায় মানুষ উন্নয়নের শরিক হয়েছেন।''
advertisement
আরও পড়ুন: দুই মুখই ভরসা BJP-র, শেষ পর্যন্ত 'ব্যতিক্রমী' হবেন সজল-মীনাদেবী?
আরও পড়ুন: সকাল-সকালই চমক ফিরহাদ হাকিমের, বাড়ি থেকে বেরিয়েই 'গন্তব্য' বুঝিয়ে দিল অনেককিছু...
১৯৯৫ সালে প্রথমবার কংগ্রেসের টিকিটে লড়ে ৮৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর হয়েছিলেন মালা রায়। তারপর দক্ষিণ কলকাতার এই ওয়ার্ড তাঁর গড়ে পরিণত হয়। ১৯৯৮ সালে তৃণমূলে যোগ দেন মালা রায়। ২০০০ সালে জোড়া ফুলের প্রতীকে জিতে মেয়র পারিষদ হন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে অবশ্য ২০০৫ সালে পুরভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল ছাড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেই সময় তাঁর সঙ্গে একই পথে হাঁটেন মালা। ২০০৫-এর পুরভোটে NCP’র হয়ে দাঁড়িয়েও তাঁর জয় আটকায়নি। এরপর ২০১০-এ কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়ে জিতে যান। ২০১৫-র পুরভোটের মুখে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন হয় মালা রায়ের। তারপর থেকে সাংসদ, কাউন্সিলর সহ নানা দায়িত্ব পেলেন তিনি।